ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত কাউকে কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। হাদির ওপর হামলাকারীর বিষয়ে তিনি বলেন, সে কোথায় আছে, প্রকৃত অবস্থান যদি জানতে পারতাম তবে তো ধরেই ফেলতাম।
তিনি আরও জানান, হাদি হত্যাকাণ্ডের তদন্তে বেশ অগ্রগতি হয়েছে। এ ঘটনার মূলহোতা বৈধ পথে দেশ ছাড়েনি।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে বৈঠক শেষে উপদেষ্টা এসব কথা জানান।
উপদেষ্টা বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সম্মুখসারির যোদ্ধা শরিফ ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের বিচারের বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখছে এবং এ ঘটনায় ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণে বদ্ধপরিকর। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত কাউকে কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না।
আরও পড়ুননিরাপত্তা ঝুঁকিতে থাকা ২০ জনকে গানম্যান দেওয়া হয়েছে৯০ দিনের মধ্যে হাদির হত্যার বিচার হবে: আইন উপদেষ্টা
তিনি বলেন, এরইমধ্যে এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ১০ জনকে যৌথবাহিনী (পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি) গ্রেফতার করেছে। এর মধ্যে রয়েছে হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা ফয়সাল করিমের স্ত্রী শাহেদা পারভীন সামিয়া, মা ও বাবা, শ্যালক ওয়াহিদ আহমেদ শিপু এবং মোটরসাইকেল মালিক আব্দুল হান্নান। তাছাড়া হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল, ২টি বিদেশি পিস্তল, ২টি ম্যাগাজিন, ৪১ রাউন্ড গোলাবারুদ ও একটি খেলনা পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে। অতি দ্রুত এ ঘটনার মূলহোতা ফয়সাল করিম মাসুদকে শনাক্ত করা হয়েছে। তবে হত্যাকাণ্ডের মোটিভ উদ্ধার ও গোপনীয়তা বজায় রক্ষার স্বার্থে এ বিষয়ে এখনই বিস্তারিত জানানো সম্ভব হচ্ছে না।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, তবে আমরা আপনাদের আশ্বস্ত করছি- এ বিষয়ে বেশ অগ্রগতি হয়েছে এবং তাকে (মূলহোতাকে) খুঁজে বের করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে দালাল চক্র ফিলিপের সহযোগী পাঁচজনকে (স্ত্রী ও শ্বশুরসহ) আটক করে বিজিবি যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ায় পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। গতকাল (রোববার) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি যৌথ এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি সম্পর্কে মিডিয়াকে বিস্তারিত অবহিত করেছে।
হাদির হত্যাকারী কোথায় আছে- জানতে চাইলে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, কোথায় আছে সেটা জানলে তো আমরা ধরেই ফেলতাম।
মূলহোতা কি দেশে আছে নাকি বিদেশে আছে- এ বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, সে কোথায় আছে... দেশে থাকতে পারে বাইরেও থাকতে পারে। প্রকৃত অবস্থান যদি জানতে পারতাম তবে তো ধরেই ফেলতাম। সে বৈধ পথে যায়নি, অবৈধ পথে গেছে কি না, এটা তো আমি বলতে পারবো না।
আরএমএম/এএমএ/এএসএম