মতপ্রকাশ তো অনেক দূর হয়ে গেছে, এখন বেঁচে থাকার অধিকারের ব্যাপার এসে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘মব ভায়োলেন্সে আক্রান্ত বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রতিবাদ সভায় তিনি এ কথা বলেন।
প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ এবং নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীরকে হেনস্তার প্রতিবাদে সংবাদপত্রের মালিক ও সম্পাদকদের দুটি সংগঠন—নিউজ পেপার্স ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব) ও সম্পাদক পরিষদ—যৌথভাবে এই প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে।
মাহফুজ আনাম বলেন, বৃহস্পতিবারের হামলার ঘটনায় ডেইলি স্টার ও প্রথম আলোর সাংবাদিকদের প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। ওইদিন ২৬ থেকে ২৭ জন স্টাফ ভবনের ভেতরে আটকে পড়েছিলেন। তাদের উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসকে ঘটনাস্থলে যেতে দেওয়া হয়নি।
তিনি বলেন, হামলাকারীদের উদ্দেশ্য শুধু ভবনে আগুন দেওয়া নয়, ছিল মানুষ হত্যা করা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখা গেছে, তারা বলছে—ডেইলি স্টার ও প্রথম আলোর সাংবাদিকদের ঘরে ঘরে গিয়ে হত্যা করতে হবে।
মাহফুজ আনাম আরও বলেন, প্রথমদিন পরিস্থিতির ভয়াবহতা তিনি পুরোপুরি উপলব্ধি করতে পারেননি। তার প্রায় ২৫ থেকে ২৬ জন সহকর্মী ছাদে আটকে পড়েছিলেন। যদি এমন হতো যে, যারা ডেইলি স্টারকে ঘৃণা করে তারা বলতো—‘তোমাদের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই, তোমরা বেরিয়ে যাও, আমরা বিল্ডিংয়ে আগুন লাগাবো’—তাহলেও মানুষ অন্তত বাঁচতে পারতো।
‘কিন্তু সেই ২৬-২৭ জন ছাদে আটকে ছিল, ফায়ার ব্রিগেডকে আসতে দেওয়া হয়নি। এটার মানে কী? মতপ্রকাশ তো অনেক দূর হয়ে গেছে, এখন বেঁচে থাকার অধিকারের প্রশ্ন এসে গেছে।’ বলেন ডেইলি স্টার সম্পাদক।
তিনি বলেন, আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি, আপনারা আমাদের সঙ্গে থাকবেন।
দৈনিক বণিক বার্তার সম্পাদক ও সম্পাদক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ সভাটি পরিচালনা করেন। সভা শেষে হোটেলের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
কেএইচ/ইএ/এএসএম