মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যোগে কমলগঞ্জে ধলাই নদীর ঝুঁকিপূর্ণ প্রতিরক্ষা বাঁধে জিওব্যাগ স্থাপনের কাজ চলছে। এর অন্যপাশে মৃত্তিঙ্গা স্টিল ব্রিজের কাছে চলছে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন। বালু উত্তোলনে নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধ ও ব্রিজের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
প্রতিকার চেয়ে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তারা। এরপরও অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ হচ্ছে না। ফলে হুমকির মুখে পড়েছে ধর্মপুর ও রামচন্দ্রপুর এলাকার ধলাই নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধ, দুটি ব্রিজ ও পরিবেশ-প্রতিবেশ।
সরেজমিনে দেখা যায়, রহিমপুর ইউনিয়নের মৃত্তিঙ্গা স্টিল ব্রিজের কাছে ধলাই নদীর ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যোগে জিওব্যাগ স্থাপন কার্যক্রম চলছে। এর একই স্থানে নদীর মাঝখান থেকে ড্রেজার মেশিন লাগিয়ে অন্যপাশে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। বিগত প্রায় দুই মাস ধরে ব্রিজের কাছ থেকে বালু উত্তোলন করছেন স্থানীয় এক ইজারাগ্রহীতা। এতে স্টিল ব্রিজ এবং নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধে জিওব্যাগ স্থাপন কার্যক্রম হুমকির মুখে পড়েছে। নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধ ও দুটি ব্রিজের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কায় গতমাসে জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন জানান স্থানীয়ররা।
স্থানীয়রা জানান, ধর্মপুর ও রামচন্দ্রপুরে মাত্র দেড় কিলোমিটারের মধ্যে ধলাই নদীর ওপর দুটি স্টিলের ব্রিজ রয়েছে। কয়েক বছর আগে মৃত্তিঙ্গা ব্রিজের উত্তর পাশে প্রায় ২০০ মিটার প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙে বন্যার সৃষ্টি হয়। এতে আশপাশ এলাকায় ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়। সম্প্রতি পানি উন্নয়ন বোর্ড বালুভর্তি জিওব্যাগ ফেলে বাঁধ মেরামতের কাজ শুরু করে। একই সময়ে পাশাপাশি স্থান এবং ব্রিজের কাছ থেকে ড্রেজার মেশিনে বালু উত্তোলন করায় নদীর বাঁধ ও দুটি ব্রিজ হুমকির মুখে পড়েছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত বালুমহাল ইজারাদার খোরশেদ আলম বলেন, ‘আমার ইজারার স্থান হচ্ছে ব্রিজের কাছাকাছি ও ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ এলাকায়। তাই ব্রিজ রক্ষা করেই বাধ্য হয়ে এখান থেকে বালু উত্তোলন করছি।’
তবে মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. খালেদ বিন অলীদ বলেন, ব্লকের পাশ থেকে কোনোভাবেই বালু উত্তোলন করা যাবে না।
কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ব্রিজের কাছ থেকে কোনো অবস্থাতেই বালু উত্তোলন করা যাবে না। এ বিষয়ে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মৌলভীবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোসা. শাহীনা আক্তার বলেন, এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে ইউএনওকে বলা হবে।
এসআর