দেশজুড়ে

মেহেরপুর সীমান্তে বিজিবির নজরদারি জোরদার

খুলনায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাকে গুলির ঘটনার পর মেহেরপুর সীমান্ত এলাকায় বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছে। এ ঘটনায় সীমান্ত দিয়ে অপরাধী পালিয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় বিজিবির একাধিক ব্যাটালিয়নের পক্ষ থেকে নজরদারি, টহল ও তল্লাশি কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) সূত্র জানায়, ব্যাটালিয়নের আওতাধীন মেহেরপুর জেলার সীমান্তের পিলার ৭৫/০ থেকে ১৩১/৮-আর পর্যন্ত প্রায় ১১৭ কিলোমিটার এলাকায় ব্যাপক তল্লাশি ও নজরদারি কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। সীমান্তের ঝুঁকিপূর্ণ ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে অতিরিক্ত বিজিবি সদস্য মোতায়েনের পাশাপাশি টহল ও গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে।

বিশেষ করে যেসব সীমান্ত এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া নেই, সেসব এলাকা বিশেষভাবে সিলগালা করা হয়েছে। সীমান্ত দিয়ে যেন কোনো ধরনের অনুপ্রবেশ বা দুষ্কৃতকারীরা পালিয়ে যেতে না পারে, সে লক্ষ্যে বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।

মুজিবনগর, নাজিরাকোনা, দারিয়াপুর, বুড়িপোতা, ইছাখালী, ঝাঝা, হরিরামপুর ও শোলমারি বিওপিসহ বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় টহল জোরদার করা হয়েছে। পাশাপাশি সীমান্তসংলগ্ন অভ্যন্তরীণ এলাকাতেও যানবাহন ও সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের ওপর তল্লাশি অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া গাংনী উপজেলা শহর, মুজিবনগরের কেদারগঞ্জ ও মেহেরপুর শহরের বিভিন্ন স্থানে বিজিবির টহল ও চেকপোস্ট কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

এদিকে কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়ন (৪৭ বিজিবি) এর পক্ষ থেকেও গাংনী সীমান্ত এলাকায় পাহারা ও নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। সোমবার বিকেলে ৪৭ বিজিবি’র পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, খুলনায় এনসিপি নেতা মোতালেব সিকদারকে গুলি করে আহত করার ঘটনার পর সীমান্ত অতিক্রম রোধ ও দুষ্কৃতকারী আটকের লক্ষ্যে ৮টি চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে। নিয়মিত টহলের পাশাপাশি দ্বিগুণ টহল তৎপরতা ও তল্লাশি কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।

সোমবার (২২ ডিসেম্বর) বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গা থানাধীন সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকার সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় এনসিপির শ্রমিক উইংয়ের খুলনা বিভাগীয় আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মো. মোতালেব সিকদার (৪২) দুর্বৃত্তদের গুলিতে আহত হন। হামলাকারীরা তার মাথা লক্ষ্য করে গুলি চালায় বলে জানা গেছে।

আসিফ ইকবাল/এমএন/এএসএম