একুশে বইমেলা

ঢাকায় ‘সাহিত্য ও কুয়াশা উৎসব’ ঘিরে বইমেলা

রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি সংলগ্ন মাঠে তিন দিনব্যাপী ‘সাহিত্য ও কুয়াশা’ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। উৎসবের আয়োজন করে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সাহিত্য সংসদ। উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ ছিল প্রকাশনীসমূহের অংশগ্রহণে বইমেলা। বইমেলায় অংশ নেয় বিশের অধিক প্রকাশনী। উৎসবে দেশবরেণ্য কবি, কথাসাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের সবুজ চত্বর।

উদ্বোধন করেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. আব্দুল লতিফ। উপাচার্য বলেন, ‘শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সাহিত্য সংসদ এই প্রাঙ্গণে প্রথমবারের মতো বইমেলার আয়োজন করছে দেখে আমি খুশি। আমি আশা করবো বইমেলার ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ ব্যাপারে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।’

কথাসাহিত্যিক সাদাত হোসাইন বলেন, ‘আয়োজনটি যেন প্রতি বছর অব্যাহত থাকে, তা আমি চাইবো। এসব আয়োজন সাহিত্যকে দেশব্যাপী ছড়িয়ে দেয় এবং সর্বোপরি পাঠক তৈরির মাধ্যমে সাহিত্যের আন্তর্জাতিকায়নে সহায়তা করে।’

আরও পড়ুনবুক অলিম্পিয়াড একটি স্বপ্ন অভিযাত্রা: রহমান রাজু যুবসমাজকে বইমুখী করতে প্যাপিরাস পাঠাগারের যাত্রা শুরু 

লেখক ও বাতিঘর প্রকাশনীর কর্ণধার মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন বলেন, ‘বাংলা সাহিত্যে আরও বেশি অনুবাদক দরকার। তাহলে বাংলা সাহিত্য বিশ্বদরবারে অধিক পৌঁছাবে। বাংলা সাহিত্যের সে মান রয়েছে।’

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, ‘সরকার বাংলা সাহিত্যের আন্তর্জাতিকায়নে অনেক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট এ ব্যাপারে গবেষণার পরিধি বৃদ্ধি করেছে।’

অনুষ্ঠানে আরও ছিল শীতকালীন সামগ্রী মেলা। মেলা চলাকালীন কবিতাপাঠ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মুখরিত হয়ে ওঠে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ। আগত দর্শনার্থীরা মেলার ধারাবাহিকতা বজায় রাখার ওপর গুরুত্ব দেন। শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সাহিত্য সংসদের সভাপতি মেহেদী আকাশ সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

এসইউ