সুইডেনের জলবায়ু আন্দোলন ও মানবাধিকার কর্মী গ্রেটা থুনবার্গকে গ্রেফতার করেছে যুক্তরাজ্যের পুলিশ। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) ফিলিস্তিনিদের পক্ষে লন্ডনে একটি বিক্ষোভে অংশ নেওয়ায় তাকে আটক করা হয়েছে।
গ্রেফতারের সময় তিনি একটি প্ল্যাকার্ড ধরে ছিলেন। এতে লেখা ছিল, আমি প্যালেস্টাইন অ্যাকশন বন্দিদের সমর্থন করি। আমি গণহত্যার বিরোধিতা করি।
বিক্ষোভের আয়োজকদের দাবি, গ্রেটা থুনবার্গকে যুক্তরাজ্যের সন্ত্রাসবাদ আইনের আওতায় আটক করা হয়েছে। তারা বলেন, কেবল ওই প্ল্যাকার্ড প্রদর্শনের কারণেই পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে।
গ্রেটা থুনবার্গ অ্যাসপেন ইনসিওরেন্স–এর দফতরের বাইরে আয়োজিত এক বিক্ষোভে অংশ নিচ্ছিলেন। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, প্রতিষ্ঠানটি ইসরায়েলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়িক কার্যক্রমে জড়িত।
যুক্তরাজ্য সরকার গত জুলাই মাসে ‘প্যালেস্টাইন অ্যাকশন’ নামের আন্দোলনকারী সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। সরকারের ভাষ্য অনুযায়ী, সংগঠনটি আইনভঙ্গকারী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল। এই নিষেধাজ্ঞার পর থেকে যুক্তরাজ্যে শত শত মানুষ গ্রেফতার হয়েছেন। শুধু সংগঠনটির প্রতি সমর্থন জানানো বা সংশ্লিষ্ট স্লোগান ও প্রতীক ব্যবহারের অভিযোগে গ্রেফতারের সংখ্যা বাড়ছে।
View this post on InstagramA post shared by Europe Palestine Network (@europe.palestine.network)
গ্রেটা থুনবার্গের আটক হওয়ার ঘটনায় মানবাধিকারকর্মী ও নাগরিক অধিকার সংগঠনগুলো গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তাদের মতে, রাজনৈতিক মত প্রকাশকে সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে এক কাতারে ফেলা হচ্ছে, যা গণতান্ত্রিক অধিকার ও বাক্স্বাধীনতার জন্য হুমকি।
বিশ্লেষকরা বলছেন, গাজা যুদ্ধ শুরুর পর যুক্তরাজ্যে ফিলিস্তিনপন্থি আন্দোলনের ওপর নজরদারি ও দমনমূলক ব্যবস্থা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। বিশেষ করে ‘প্যালেস্টাইন অ্যাকশন’ নিষিদ্ধ হওয়ার পর প্রতিবাদ, ব্যানার ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পোস্ট দেওয়ার কারণে গ্রেফতার করা হচ্ছে।
সূত্র : মিডল ইস্ট আই
কেএম