বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে কলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশের উপ-দূতাবাসে দফায় দফায় বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ভারতের বিভিন্ন হিন্দু সংগঠন। এর জেরে ভারত এবং বাংলাদেশ তাদের ভিসা আবেদন কেন্দ্রগুলো অস্থায়ীভাবে বন্ধ রেখেছে। এসবের প্রভাব পড়েছে পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতনেও।
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের পৌষ মেলার ছুটিতে দেশে গিয়ে আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল। কিন্তু ভিসা জটিলতার কারণে এসব শিক্ষার্থী বাংলাদেশে যেতে পারছেন না।
এমন পরিস্থিতিতে বেশ দুর্ভোগে পড়েছেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সংগীত ভবন, কলাভবনসহ বেশ কিছু ভবন মিলিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ জন শিক্ষার্থী রয়েছেন। তাদের মধ্যে কেউ বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেলে, আবার কেউ বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশেই বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন। কিন্তু পৌষ মেলার ছুটিতে দেশে যাওয়ার জন্য তাদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না।
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে আরও জানা গেছে, এরই মধ্যেই বাংলাদেশে নিজেদের বাড়িতে অবস্থান করছেন স্নাতকোত্তর ডিগ্রী কোর্সের প্রায় ১০ থেকে ১২ জন শিক্ষার্থী। তারাও তাদের ডিগ্রী সম্পন্ন করতে ভারতে আসতে পারছেন না। জানা গেছে, আগামী বছরের জানুয়ারি মাস থেকে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রী কোর্সের ক্লাস শুরু হবে।
এ বিষয়ে বিশ্বভারতীর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ কর্মকর্তা অতিগ ঘোষ জানিয়েছেন, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। আমরা চাই পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হোক। আমাদের শিক্ষার্থীরা যেন ঠিকভাবে ফিরে আসতে পারেন প্রশাসন সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।
ডিডি/টিটিএন