দেশজুড়ে

নানা আয়োজনে শেরপুরে ১৮ গির্জায় বড়দিন উদযাপন

শেরপুরে উৎসাহ উদ্দীপনা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব বড়‌দিন উদযাপিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) জেলার ১৮টি গির্জায় একযোগে বিশেষ প্রার্থনা, ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান ও শান্তির বাণী প্রচারের মাধ্যমে বড়দিনের কর্মসূচি শুরু হয়।

বড়দিন উপলক্ষে শেরপুর শহরসহ জেলার বিভিন্ন খ্রিস্টানপল্লী আলোকসজ্জা, খ্রিস্টমাচ ট্রিসহ স্থাপনাগুলো নান্দনিক সাজসজ্জায় সেজে ওঠে। এতে সর্বত্র সৃষ্টি হয় উৎসবমুখর ও আনন্দঘন পরিবেশ। জেলার ঝিনাইগাতীর মরিয়মনগর ক্যাথলিক চার্চসহ বিভিন্ন গির্জায় দেশ ও জাতির শান্তি, সম্প্রীতি ও মানবকল্যাণ কামনায় বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়।

২৪ ডিসেম্বর রাতে প‌বিত্র খ্রীষ্ঠজাগের মধ‌্যদিয়ে শুরু হয় খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের বৃহত্তম এই ধর্মীয় উৎসবের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম। জেলার সবচেয়ে বড় অনুষ্ঠান হয় নালিতাবাড়ি উপজেলার বারোমারী সাধু লিওর ধর্মপল্লীতে।

বৃহস্প‌তিবার সকালে কেক কাটার মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর বিশেষ প্রার্থনা, ধর্মীয় আলোচনা ও সং‌কির্তনের মধ‌্যদিয়ে শেষ হবে বড়‌দিনের আনুষ্ঠা‌নিক কার্যক্রম। এছাড়াও দিনব্যাপী জেলার বিভিন্ন খ্রিষ্টান মিশন ও ধর্মীয় উপাসনালয়ে চলে উৎসবের আমেজ। উৎসব ঘিরে জেলায় খ্রিষ্ট ভক্তদের মাঝে উৎসবের আমেজ বইছে।

এবার জেলা সদরের চরশ্রীপুর, পৌর এলাকার কসবা গারো পল্লী, সীমান্তের ঝিনাইগাতী উপজেলার মরিয়মনগর অধিবাসী খ্রিষ্টান ধর্মপল্লী, নালিতাবাড়ি উপজেলার বারোমারী সাধু লিওর ধর্ম পল্লী ও শ্রীবরদী উপজেলার বাবলাকোনা আদিবাসী খ্রিষ্টান ধর্মপল্লীসহ জেলার প্রায় ১৮টি গীর্জায় প্রায় বিশ হাজার খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী গারো আদিবাসীসহ খ্রিষ্ট ভক্তরা নানা আয়োজনে দিন‌টি উদযাপন করছেন।

ঝিনাইগাতীর মরিয়ম নগর খ্রিস্টধর্মপল্লীর রেভারেন্ড ফাদার লরেস সিবেরোজ সিএসসি বলেন, বড়দিন কেবল খ্রিষ্টানদের উৎসব নয়, এটি সর্বজনীন আনন্দের দিন। এই দিনে আমরা প্রার্থনার মাধ্যমে দেশ ও জাতির শান্তি, সম্প্রীতি এবং মানুষের কল্যাণ কামনা করেছি। সমাজে ভালোবাসা ও সহনশীলতার চর্চাই বড়দিনের মূল শিক্ষা।

নালিতাবাড়ীর বারোমারি সাধু লিওর ধর্মপল্লীর পাল পুরো‌হিত ফাদার তরুণ বনোয়া‌রি জাগো নিউজকে বলেন, যিশু খ্রিষ্টের জন্মদিন উপলক্ষে ২৫ ডিসেম্বর বড় দিন ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে পালন করা হচ্ছে। প্রভু যিশুখ্রীষ্ট মানুষের দুঃসময়ে, মানুষের একা‌কিত্বে, মানুষের কষ্টে তি‌নি এই পৃ‌থিবীতে মু‌ক্তি নিয়ে এসেছেন। আমরা সেই মূল ভাব‌টিকে ধারণ করে ধর্মপল্লীতে উৎসব করছি।

মো. নাঈম ইসলাম/এমএন/জেআইএম