প্রায় তিন দশক পর থাইল্যান্ডে আবারও দেখা মিলেছে বিলুপ্তপ্রায় বিশ্বের অন্যতম বিরল বন্য বিড়ালের (ফ্ল্যাট-হেডেড ক্যাট)। গবেষকরা দেশটির একটি সংরক্ষিত বনে ক্যামেরা ট্র্যাপের মাধ্যমে প্রাণীটির ছবি তুলতে সক্ষম হয়েছেন যা বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে এক ঐতিহাসিক সাফল্য হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
বন্য বিড়াল সংরক্ষণ সংস্থা প্যানথের শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) থাইল্যান্ডের বার্ষিক ওয়াইল্ডলাইফ প্রোটেকশন ডে উপলক্ষে এই পুনরাবিষ্কারের ঘোষণা দিয়েছে।
ফ্ল্যাট-হেডেড ক্যাট যা চ্যাপ্টা কপালের জন্য পরিচিত এই বিড়ালটি মূলত ব্রুনেই, ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ার কিছু বিচ্ছিন্ন অঞ্চলে পাওয়া যায়। তবে থাইল্যান্ডে প্রাণীটি প্রায় ৩০ বছর ধরে দেখা যায়নি। ফলে দেশটিতে একে বিলুপ্ত বলেই ধরে নেওয়া হচ্ছিল। থাইল্যান্ডে সর্বশেষ এই প্রজাতির উপস্থিতি নথিভুক্ত করা হয়েছিল ১৯৯৫ সালে।
VIDEO | Avvistato nel Borneo il gatto dalla testa piatta, uno dei felini più rari al mondo. #ANSA https://t.co/bMfohZuIUs pic.twitter.com/YRx3Nv1Zjt
প্যানথেরার তথ্যমতে, এটি ছিল এই প্রজাতিকে খুঁজে বের করার জন্য পরিচালিত সবচেয়ে বড় জরিপ। গবেষকরা থাইল্যান্ডের দুর্গম এলাকায় দীর্ঘ সময় ধরে অনুসন্ধান চালান। ২০২৪ ও ২০২৫ সালে থাইল্যান্ডের প্রিন্সেস সিরিনধর্ন ওয়াইল্ডলাইফ স্যাংচুয়ারিতে স্থাপন করা রিমোট ক্যামেরা ট্র্যাপে ফ্ল্যাট-হেডেড ক্যাটের ছবি ধরা পড়ে। এটিই ১৯৯৫ সালের পর দেশটিতে প্রাণীটির প্রথম প্রামাণ্য উপস্থিতি।
ফ্ল্যাট-হেডেড ক্যাটকে বিশ্বের সবচেয়ে বিরল ও বিপন্ন বন্য বিড়ালগুলোর একটি হিসেবে ধরা হয়। এই বিড়ালের মাথার লোম কমলা-বাদামি রঙের, চোখের পেছনে ও নিচে সরু গাঢ় দাগ থাকে। শরীরের পাশের অংশ ধূসর-বাদামি এবং সাধারণত দাগ বা ডোরাবিহীন। মুখ, থুতনি ও বুকের অংশ সাদা রঙের।
আন্তর্জাতিক প্রকৃতি সংরক্ষণ সংস্থা আইইউসিএন (আইইউসিএন)-এর হিসাব অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে বর্তমানে প্রায় ২,৫০০ প্রাপ্তবয়স্ক ফ্ল্যাট-হেডেড ক্যাট বনে টিকে আছে। এ কারণে প্রজাতিটিকে বিপন্ন হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করা হয়েছে।
সূত্র : নিউজ ইন্টারন্যাশনাল
কে এম