উত্তরের প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত বগুড়ায় শীতের প্রকোপ বেড়েছে। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) জেলায় সর্বনিম্ন ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, যা চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন।
আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক মো. শাহ আলম আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রার এই রেকর্ড নিশ্চিত করেছেন।
বগুড়া আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তার আগের দিন ছিলো ১১ দশমিক ৭ ডিগ্রি। অর্থাৎ প্রতিদিন গড়ে তাপমাত্রা কমছে।
মো. শাহ আলম বলেন, শনিবার সকাল থেকেই জেলাজুড়ে ঘন কুয়াশা ও হিমেল বাতাস বইছে। সকাল ৯টায় জেলায় ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী কয়েক দিন শীতের এই তীব্রতা অব্যাহত থাকতে পারে।
সরেজমিনে দেখা যায়, পৌষের শুরু থেকেই হিমেল বাতাস ও কুয়াশার দাপট জনজীবন বিপর্যস্ত করে তুলেছে। সকাল থেকেই চারপাশ ঘন কুয়াশায় ঢাকা ছিলো। কুয়াশার কারণে মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কগুলোতে দিনেও যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।
এদিকে শীতের এই তীব্রতায় সবচেয়ে বেশি কষ্টে পড়েছেন শিশু, বৃদ্ধ ও নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষ। জীবিকার তাগিদে হাড়কাঁপানো শীত উপেক্ষা করেই সকালে কাজে বের হতে হচ্ছে দিনমজুর, রিকশাচালক ও কৃষিশ্রমিকদের।
তবে রাস্তায় লোকজনের চলাচল কমে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন রিকশা ও ভ্যানচালকেরা। আয় কমে যাওয়ায় পরিবার নিয়ে দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে তাদের।
এলবি/এনএইচআর/এমএস