বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে আটক রাজধানীর গাবতলী কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের উপাধ্যক্ষ এ কে এম শহিদুল ইসলামের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। রোববার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুয়েল রানা এই জামিন আদেশ দেন।
আদালত সূত্র জানায়, দুপুরে শুনানি শেষে জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত। প্রসিকিউশন বিভাগের উপ-পরিদর্শক স্বপন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গতকাল শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদির কবর জিয়ারতে যান তারেক রহমান। প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে, ওই সময় শিক্ষক শহিদুল ইসলাম দূর থেকে তারেক রহমানকে লক্ষ্য করে চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসী বলে চিৎকার করছিলেন। বিষয়টি উপস্থিত বিএনপি নেতাকর্মীদের নজরে এলে তারা তাকে আটক করে শাহবাগ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। পরবর্তীতে পুলিশ তাকে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছিল।
শিক্ষক শহিদুল ইসলামকে গ্রেফতারের পর গতকাল রাতেই বিএনপির পক্ষ থেকে এক বিস্ময়কর প্রতিক্রিয়া জানানো হয়। দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক বিবৃতিতে ওই শিক্ষকের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, একটি গণতান্ত্রিক দেশে যে কারও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে এবং বিএনপি সেই স্বাধীনতার জন্যই লড়াই করছে। মতপ্রকাশের কারণে কাউকে গ্রেফতার বা কারাগারে পাঠানো সঠিক কাজ নয়। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, তারেক রহমান নিজে এই গ্রেফতারের বিষয়টি জানার পর ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং ওই ব্যক্তিকে দ্রুত ছাড়িয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করতে দলীয় নেতাদের নির্দেশনা দেন।
জামিন পাওয়ার পর শিক্ষক শহিদুল ইসলাম আজই কারাগার থেকে মুক্তি পেতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এমডিএএ/এএমএ/এএসএম