শিক্ষা

কারও সংবর্ধনায় শিক্ষার্থীদের রাস্তায় দাঁড় করানো যাবে না

সরকারের মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সংবর্ধনা দিতে অনেক সময় শিক্ষার্থীদের রাস্তায় দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। দীর্ঘসময় রাস্তায় রোদ বা বৃষ্টির মধ্যে দাঁড় করিয়ে রাখায় শিক্ষার্থীদের অসুস্থ হওয়ার খবরও প্রায়ই সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হতে দেখা যায়। তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এ কাজ সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করা হয়েছে।

২০২৬ সালের শিক্ষাপঞ্জিতে এ নিয়ে স্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, কোনো সরকারি কর্মকর্তার পরিদর্শন উপলক্ষে বিদ্যালয় ছুটি দেওয়া যাবে না। সংবর্ধনা বা পরিদর্শন উপলক্ষে শিক্ষার্থীদের নিয়মিত ক্লাস বন্ধ করা যাবে না। একই সঙ্গে সংবর্ধিত বা পরিদর্শনকারী ব্যক্তির প্রতি সম্মান প্রদর্শনের জন্য শিক্ষার্থীদের রাস্তায় দাঁড় করানো যাবে না।

রোববার (২৮ ডিসেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে এ শিক্ষাপঞ্জি প্রকাশ করা হয়। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে এতে সই করেছেন বিভাগের সরকারি মাধ্যমিক শাখা-১-এর উপসচিব সাবিনা ইয়াসমিন।

শিক্ষাপঞ্জির নির্দেশনামতে, প্রত্যেকটি (অর্ধবার্ষিক-বার্ষিক) পরীক্ষার সময়সীমা ১২ কর্মদিবসের বেশি হবে না। সব পরীক্ষা গ্রহণ এবং বার্ষিক পরীক্ষার উত্তরপত্র এক বছর সংরক্ষণ করতে হবে।

পরীক্ষার নির্ধারিত তারিখ পরিবর্তন করা যাবে না। তবে কোনো বিশেষ কারণে পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করতে হলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) অনুমতি নিতে হবে। এসএসসি পরীক্ষার সময় কেন্দ্র ছাড়া অন্য বিদ্যালয়ে যথারীতি ক্লাস চালু থাকবে। জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ দিবসগুলো যথারীতি পালন করতে হবে।

এদিকে, এবার মাধ্যমিক ও নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছুটি ১২ দিন কম রাখা হয়েছে। পবিত্র শবে মেরাজ, জন্মাষ্টমী, আশুরাসহ বেশ কয়েকটি দিনের ছুটি থাকছে না। পাশাপাশি পবিত্র রমজান মাসের প্রায় পুরোটা সময় স্কুল খোলা রাখা হবে। এতে এবার সাপ্তাহিক ছুটি ছাড়া স্কুল বন্ধ থাকবে ৬৪ দিন। গত বছর এ ছুটি ছিল ৭৬ দিন। সেই হিসাবে এবার ছুটি কমছে ১২ দিন।

প্রকাশিত ছুটির তালিকা পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ২০২৬ সালের ৮ মার্চ থেকে পবিত্র রমজান ও ঈদুল ফিতরের ছুটি শুরু হবে। অথচ ১৭ ফেব্রুয়ারি (চাঁদ দেখার ওপর নির্ভরশীল) থেকে রোজা শুরু হওয়ার কথা। যদি সেদিন থেকে রোজা শুরু হয়, তাহলে ২১ রমজান পর্যন্ত স্কুল খোলা থাকবে।

২০২৫ সালে রোজা, দোলযাত্রা, স্বাধীনতা দিবস, জুমাতুল বিদা, শবে কদর ও ইদুল ফিতর মিলিয়ে ২৮ দিন ছুটি রাখা হয়েছিল। তবে ২০২৬ সালে রোজা-ঈদসহ এ দিবসগুলো উপলক্ষে ছুটি কমিয়ে ১৯ দিন করা হয়েছে। ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মকালীন অবকাশ মিলিয়ে আগে ১৫ দিন ছুটি ছিল। এবার তা ১২ দিন করা হয়েছে। এছাড়া শীতকালীন অবকাশও একদিন কমানো হয়েছে।

এএএইচ/এমএমকে/জেআইএম