বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুকে গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং। একই সঙ্গে চীন–বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও এগিয়ে নেওয়ার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন তিনি।
মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে পাঠানো এক শোকবার্তায় তিনি এ কথা বলেন। তার পাঠানো চিঠির একটি কপি নিজেদের ফেসবুক পেজে প্রাকাশ করেছে ঢাকাস্থ চীনা দূতাবাস।
শোকবার্তায় লি কিয়াং বলেন, বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন বাংলাদেশের একজন প্রবীণ রাজনীতিক এবং চীনা জনগণের একজন পুরোনো বন্ধু। তার প্রধানমন্ত্রিত্বকালে চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি বন্ধুত্ব, সমতা ও পারস্পরিক কল্যাণের ভিত্তিতে সমন্বিত সহযোগিতামূলক অংশীদারত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়, যা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতিতে ভূমিকা রেখেছে।
চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক উন্নয়নে বেগম খালেদা জিয়ার গুরুত্বপূর্ণ অবদানের কথা উল্লেখ করে চীনের প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ সম্পর্ক জোরদারে তার ভূমিকা চীনা পক্ষ উচ্চভাবে মূল্যায়ন করে।
শোকবার্তায় আরও বলা হয়, চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে বিদ্যমান দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয় বেইজিং। ভবিষ্যতে বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরও উচ্চতর পর্যায়ে উন্নীত করতে চীন প্রস্তুত রয়েছে, যেন উভয় দেশের জনগণ আরও বেশি উপকৃত হয়।
এভারকেয়ার হাসপাতালে ৩৭ দিন ধরে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে হার মানলেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। মঙ্গলবার ভোরে মারা যান তিনি। আপসহীন নেত্রী বিদায় জানালেন দেশবাসীকে।
গত ২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠান শেষে বাসায় ফেরেন খালেদা জিয়া। এরপর অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং শ্বাসকষ্ট তীব্র হয়। এ অবস্থায় ২৩ নভেম্বর তাকে জরুরিভিত্তিতে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং চিকিৎসকরা জানান তিনি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত। সঙ্গে আরও কিছু জটিলতা আছে। তার কিডনি ডায়ালাইসিসও করতে হয়েছে। এরপর থেকে তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন।
জেপিআই/ইএ/জেআইএম