ডিজিটাল যুগে শিশুদের হাতে স্মার্টফোন, ট্যাব ও অন্যান্য ডিভাইস এখন নিত্যসঙ্গী। তবে অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইম শিশুদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্রমেই বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠছে। নতুন বছরকে সামনে রেখে শিশুদের ডিজিটাল ডিভাইস আসক্তি কমাতে চারটি কার্যকর কৌশলের কথা বলেছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, হঠাৎ করে শিশুদের ডিভাইস থেকে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা না করে পরিকল্পিতভাবে অভ্যাস পরিবর্তন করাই সবচেয়ে ফলপ্রসূ। নতুন বছর এ ধরনের পরিবর্তনের জন্য উপযুক্ত সময়।
আলোচনার মাধ্যমে শুরু করুনবিশেষজ্ঞ ক্যাথরিন প্রাইস বলেন, স্ক্রিন টাইম নিয়ে সন্তানকে উপদেশ বা বকাঝকা না করে পরিবারের সবাইকে নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করা জরুরি। কে কতটা স্ক্রিন ব্যবহার করছে এবং এতে কেমন অনুভূতি হচ্ছে-এ বিষয়ে কথা বললে শিশুরাও বিষয়টি উপলব্ধি করতে শেখে। একই সঙ্গে অভিভাবকদের নিজেদের ডিভাইস ব্যবহারের অভ্যাস পর্যালোচনা করার পরামর্শ দেন তিনি।
স্পষ্ট নিয়ম প্রণয়ন ও বাস্তবায়নমনোবিজ্ঞানী ড. জিন টুয়েঞ্জের মতে, পরিবারের সব সন্তানের জন্য একই ধরনের স্ক্রিন টাইম নীতি থাকা প্রয়োজন। নির্দিষ্ট বয়সের আগে স্মার্টফোন বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার সীমিত করা, দৈনিক সময়সীমা নির্ধারণ এবং খাবারের সময় ডিভাইস ব্যবহার বন্ধ রাখার মতো নিয়ম কার্যকর হতে পারে। এসব ক্ষেত্রে অভিভাবকদেরই উদাহরণ তৈরি করতে হবে।
সম্ভাব্য সমস্যায় সহায়তাবিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্ক্রিন টাইম কমলে শিশুদের মধ্যে একঘেয়েমি কিংবা বন্ধুদের থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার অনুভূতি তৈরি হতে পারে। এ সময় শিশুদের পাশে থেকে খেলাধুলা, বই পড়া ও পারিবারিক সময় কাটানোর মতো বিকল্প আনন্দদায়ক কার্যক্রমে যুক্ত করা জরুরি।
নিরাপত্তা ও নজরদারি জোরদারস্ক্রিন ব্যবহার সীমিত হলেও অনলাইন ঝুঁকি থেকে শিশুদের সুরক্ষায় প্যারেন্টাল কন্ট্রোল ও নির্ভরযোগ্য মনিটরিং সফটওয়্যার ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন গবেষকরা। এতে অনুপযুক্ত কনটেন্ট থেকে শিশুদের দূরে রাখা সহজ হয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, উদ্দেশ্য একটাই-শিশু ও অভিভাবক উভয়ের জন্য অর্থবহ, আনন্দময় ও সম্পর্কনির্ভর জীবন নিশ্চিত করা। সঠিক পরিকল্পনা ও পারিবারিক সহযোগিতায় ২০২৬ সাল হতে পারে শিশুদের স্ক্রিন আসক্তি থেকে বেরিয়ে আসার একটি গুরুত্বপূর্ণ বছর।
আরও পড়ুনজরুরি কলে লাইভ ভিডিও শেয়ার করতে পারবেন অ্যান্ড্রয়েডেচোখের পলকে ফোনের চার্জ শেষ হচ্ছে, সমাধান করুন নিজেই
সূত্র: ম্যাশেবল
শাহজালাল/কেএসকে