দেশ-বিদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা লাখ লাখ মানুষের অংশগ্রহণের মধ্যে দিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। বুধবার বিকেল ৩টায় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে জানাজায় ইমামতি করেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি মুহাম্মদ আব্দুল মালেক।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, খালেদা জিয়ার বড় ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা, প্রধান বিচারপতি, তিন বাহিনীর প্রধান, দেশি-বিদেশি রাজনীতিক, কূটনৈতিক ব্যক্তি ছাড়াও লাখ লাখ মানুষ জানাজায় অংশ নেন। দেশের ইতিহাসে এটাই সর্ববৃহৎ জানাজা বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জাতীয় সংসদ ভবনের মাঠ, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ থেকে শুরু করে বিজয় সরণি, আগারগাঁও, পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠ, আসাদগেট, আড়ং মোড়, মিরপুর রোড, সোবহানবাগ, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার জাহাঙ্গীরগেট এলাকা থেকে জানাজায় অংশ নেন মানুষ। রাস্তায় মানুষের জনস্রোত থাকায় এসব এলাকার ভবনগুলোর ছাদেও লোকজনকে জানাজার নামাজ আদায় করতে দেখা গেছে।
খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে আজ সকাল থেকে লাখো মানুষের ঢল নামে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে। জনস্রোত ছড়িয়ে পড়ে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের বাইরেও। শুধু তাই নয়, উড়ালসড়কও বন্ধ হয় জনস্রোতে।
জানাজায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, তারেক রহমানসহ অন্যরা, ছবি: সংগৃহীত
বিকেল পৌনে ৩টার দিকে জানাজা শুরুর আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। জানাজার শুরুতে খালেদা জিয়ার স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, ‘তিনি (খালেদা জিয়া) বলতেন, বিদেশে আমাদের বন্ধু আছে, কোনো প্রভু নেই।’
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া জনগণের কল্যাণে একের পর এক গ্রহণ করেছেন যুগান্তকারী সব কর্মসূচি। তার পরিকল্পনায় উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি অর্জনের পর বাংলাদেশ বিশ্বে পরিচিত পেয়েছিল ইমার্জিং টাইগার হিসেবে।
সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তারেক রহমান বলেন, 'আমি মরহুমা খালেদা জিয়ার বড় সন্তান তারেক রহমান। মরহুমা বেগম খালেদা জিয়া জীবিত থাকা অবস্থায় যদি আপনাদের কারো কাছ থেকে যদি ঋণ নিয়ে থাকেন, দয়া করে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করবেন।আমি সেটা পরিশোধের ব্যবস্থা করবো, ইনশাআল্লাহ। একইসঙ্গে তিনি জীবিত থাকা অবস্থায় ওনার কোনো ব্যবহারে, কোনো কথায়, যদি কেউ আঘাত পেয়ে থাকেন, তাহলে মরহুমার পক্ষ থেকে আমি আপনাদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। দোয়া করবেন, আল্লাহতায়ালা যেন তাকে বেহেশত দান করেন।'
এসএনআর/এমএমএআর/এমএস