বিপিএল গত বেশ কয়েক আসর ধরে ঢাকা, সিলেট ও চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হয়। এবারও প্রথমে সিলেট, এরপর চট্টগ্রাম ও শেষ পর্ব হওয়ার কথা ছিল ঢাকায়। কিন্তু সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে একদিনের খেলা বাতিল করায় সূচি পরিবর্তন করতেই হতো।
২৩ জানুয়ারি ফাইনাল করার বাধ্যবাধকতায় পরিবর্তনটা বড়ই হলো। সেক্ষেত্রে এবারের বিপিএলে চট্টগ্রামে কোনো খেলাই হচ্ছে না। ওখানকার সব খেলাই এখন হবে সিলেটে। বাধ্য হয়ে এমন সিদ্ধান্ত নিলেও চট্টগ্রামের ক্রিকেট সমর্থকদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন বিপিএল গভর্নিং কমিটির সদস্য সচিব ইফতেখার রহমান মিঠু।
বুধবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনে মিঠু জানান, বিপিএলের সূচিতে বড় পরিবর্তন আনা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা আসলেই দুঃখিত চট্টগ্রামের দর্শকদের জন্য। ম্যানেজমেন্ট রেডি করে ফেলেছিল সবকিছু। কিন্তু আমরা বাধ্য হয়েই চট্টগ্রামের খেলাগুলো সিলেটে নিয়ে আসছি। এখানে আমরা দুদিন বাঁচাবো ট্র্যাভেলিং ডে’তে। এখান থেকে অল ইকুইপমেন্ট চট্টগ্রাম যাওয়ার কথা ছিল, আবার ও্ইখান থেকে দুদিন আপনারা আগের ফিক্সচারটায় দেখলে দেখবেন। ওটাকে অ্যাডজাস্ট করে আমরা চট্টগ্রামের খেলাগুলো সিলেট নিয়ে আসছি।’
কেন পুরো চট্টগ্রামের খেলাই সিলেটে নিয়ে আসতে হলো, তারও ব্যাখা দিয়েছেন মিঠু। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ২৬ জানুয়ারি বিশ্বকাপ খেলতে চলে যাবে। এর সঙ্গে আমাদের যে প্রোডাকশন, ইভেন আপনারাও (সাংবাদিক), সবারই একটা প্ল্যান আছে। টিমদের সাথে, গভর্নিং কাউন্সিল, টেকনিক্যাল কমিটি সবার সাথে আলাপ করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখন যে দুদিন গ্যাপটা হয়েছে, এটা অ্যাডজাস্ট করার জন্যে আমাদের খেলা এখন দুটি ভেন্যুতে নিয়ে আসা হচ্ছে। আমরা অনেক চেষ্টা করেছি, এটা ছাড়া এটাকে অ্যাডজাস্ট করা যাচ্ছে না।’
গুঞ্জন ছিল ঢাকায়ও বিপিএল আয়োজন করা কঠিন হতে পারে। তবে মিঠু জানান, সব জায়গা থেকে সবুজ সংকেত পেয়েই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিসিবির এই বর্ষীয়ান পরিচালক বলেন, ‘সব জায়গা থেকে গ্রিন সিগনাল নিয়েই (সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে) আমরা কিন্তু নিজেদের ইচ্ছায় কোনো পরিবর্তন আজ পর্যন্ত করিনি। পরিস্থিতির কারণে করতে হয়েছে। এই যে ২৪ তারিখের ওপেনিং সেরিমনিটা শিফট করতে হইছে। এটা তো বর্তমান পরিস্থিতির কারণে... । বিপিএলটা আপনাদের সবাই সহযোগিতায় আমরা এখন পর্যন্ত মোটামুটি ঠিকঠাক চলছে। আশা করি আপনাদের সবার সহযোগিতা নিয়ে আমরা ২৩ তারিখ (জানুয়ারি) শেষ করবো।’
এসকেডি/এমএমআর