সবজি ক্ষেতে ছাগল প্রবেশ করায় মাগুরা সদর উপজেলার কুকনা গ্রামে এক গৃহবধূকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করা হয়েছে। শুক্রবার বিকালে এই ঘটনা ঘটে। নির্যাতিত মালতী রাণী কুকনা গ্রামের রতন কুমার শীলের স্ত্রী।প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী জানায়, বিকেলে মালতী রানীর পোষা ছাগল বাড়ির পার্শ্ববর্তী ভরত কুমার ঘোষের সবজি ক্ষেতে ঢোকে বাগানের ক্ষতি করে। এ ঘটনায় এলাকার প্রভাবশালী ভরত কুমার ও তার সমর্থকরা উত্তেজিত হয়ে মালতী রাণীকে গাছে বেঁধে বেধম মারপিট করে। মালতী রানী জাগো নিউজকে জানান, তার স্বামী রতন কুমার শীল একটি সেলুনে (নাপিত) কাজ করেন এবং তিনি সংসারে বাড়তি আয় উপার্জনের জন্য গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগী পালন করেন। কিন্তু প্রতিবেশী ভরত কুমার প্রভাবশালী হওয়ায় মাঝে মধ্যে তাকে হুমকি-ধামকি দিয়ে থাকেন। তিনি হুমকি-ধামকির বিষয়টি বেশ কয়েকবার এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে জানালে ভরত কুমার আরো বেশি উত্তেজিত হয়ে পড়েন এবং তার একটি পোষা গুরু চুরি করে নিয়ে যায়। গরু চুরির বিষয়টি তিনি মাগুরা সদর থানায় অবহিত করলে ভরত কুমার, স্বপন ঘোষ, রাজকুমার, উত্তম, নৃপেন, অসীমসহ বেশ কয়েকজন রেগে শুক্রবার তার নামে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারপিট করেন।মাগুরা পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোছলেম উদ্দিন (মঙ্গল বিশ্বাস) জাগো নিউজকে জানান, দীর্ঘদিন মালতী রানীর গরু ছাগল এলাকার সাধারণ মানুষের ক্ষেত খামারসহ গাছ-গাছালির ক্ষয়-ক্ষতি করে আসছে। এ বিষয়ে তিনি একাধিকবার বিচারও করে দিয়েছেন। কিন্তু বিচারের পরও বিকেলে মালতীর ছাগল ভরত কুমারের বাগানে প্রবেশ করায় এলাকার লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে মালতী রানীকে গাছে বেঁধে রাখে। খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে ছুটে যান।অভিযুক্ত ভরত কুমার জাগো নিউজকে জানান, মালতী রাণীকে শুধুমাত্র গাছে বেঁধে রেখে শায়েস্তা করতে চেয়েছিলেন তিনি। তবে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি।এ বিষয়ে মাগুরার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সুদর্শন কুমার রায় জাগো নিউজকে জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মালতী রানীকে উদ্ধার করে। তবে এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।আরাফাত হোসেন/এআরএ/এমএস