জাতীয়

বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন হচ্ছে কল্যাণপুরের ৯ জঙ্গির মরদেহ

রাজধানীর কল্যাণপুরে জঙ্গি আস্তানায় পুলিশের ‘অপারেশন স্ট্রম টুয়েন্টি সিক্স’ এ নিহত ৯ জঙ্গির মরদেহ বেওয়ারিশ বা অজ্ঞাত হিসেবে দাফন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ও ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটি) বিভাগের নির্দেশে তাদের মরদেহ গ্রহণ করতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে উপস্থিত হয়েছে আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম কর্তৃপক্ষ।ঢামেক ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সোহেল মাহমুদ জানান, সিটি ইউনিটের কাছ থেকে আঞ্জুমান মরদেহ গ্রহণের নির্দেশ পেয়েছে। আজই কল্যাণপুরের ৯ জঙ্গির মরদেহ তাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।এর আগে, গত ২৬ জুলাই ভোরে কল্যাণপুরে একটি জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালায় পুলিশ। এতে আস্তানায় থাকা ৯ জঙ্গি নিহত হয়। নিহতদের ৯ জনের মধ্যে ৮ জনের আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বিভাগের মাধ্যমে ৮ জনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে তাদের পরিবার দীর্ঘদিন ধরে মরদেহ না নেয়ায় বেওয়ারিশ বা অজ্ঞাত হিসেবেই দাফন করা হচ্ছে তাদের মরদেহ।নিহতরা হলেন, দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ থানাধীন বল্লভপুরের সোহরাব আলীর ছেলে আব্দুল্লাহ, টাঙ্গাইলের মধুপুরের নূরুল ইসলামের ছেলে আবু হাকিম নাইম, ঢাকার ধানমন্ডির রবিউল হকের ছেলে তাজ-উল-হক রাশিক, সাতক্ষীরার তালা থানাধীন ওমরপুরের নাসির উদ্দিন সরদারের ছেলে মতিয়ার রহমান, ঢাকার গুলশানের সাইফুজ্জামান খানের ছেলে আকিফুজ্জামান খান, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বাসিন্দা তৌহিদ রউফের ছেলে সাজাদ রউফ অর্ক, নোয়াখালীর সুধারাম থানাধীন মাইজদী এলাকার আব্দুল কাইয়ুমের ছেলে জোবায়ের হোসেন, রংপুরের পীরগাছা থানাধীন পুরশুরা এলাকার শাহজাহান কবিরের ছেলে রায়হান কবির ওরফে তারেক ওরফে ফারুক।ঢামেক সূত্র জানায়, আজই জুরাইনের কবরস্থানে তাদের দাফন সম্পন্ন করা হতে পারে।এআর/এআরএস/পিআর