ভালো লাগে তাই পতাকা বিক্রি করি। দেশের জন্য আমি যুদ্ধ করতে পারিনি তাতে কি দেশের লাল-সবুজের পতাকা বিক্রি করে আনন্দ পাই। সেই সঙ্গে কিছু টাকায় রোজগার হয়। তবে টাকার জন্য আমি এসব করি না। ভালো লাগা থেকেই করি। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় সাতক্ষীরার পাকাপোল ব্রিজের ওপর জাতীয় পতাকা বিক্রেতা বদরুজ্জামান জাগো নিউজের কাছে এভাবেই তার প্রতিক্রিয়া ও অনুভূতি ব্যক্ত করেন। সদরের এল্লারচর গ্রামের মৃত শেখ এবাদুল ইসলামের ছেলে বদরুজ্জামান আরো বলেন, প্রতিটি পতাকা ১০ টাকা করে বিক্রি করি। দিনে ৫০০ থেকে এক হাজার টাকা বিক্রি হয়। কোনো দিন আবার হয় না। ২১ ফেব্রুয়ারি, ২৬ মার্চ, ১৬ ডিসেম্বর ও পহেলা বৈশাখ বছরের এই চারটি বিশেষ দিনের আগে তিনি পতাকা তুলে নেন হাতে। বিক্রি করেন শহরের বিভিন্ন এলাকায়। অপর এক পতাকা বিক্রেতা খুলনার টুটপাড়া এলাকার ফজলুল হকের ছেলে বাদশার গল্পও ঠিক একই রকম। তবে তিনি যুক্ত করেন, পতাকা বিক্রি তিনি ব্যবসা হিসেবে নিয়েছেন। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তিনি যান পতাকা বিক্রির জন্য। বিজয় দিবসের দিনের আগেই সব পতাকা বিক্রি হয়ে যাবে বলে তিনি প্রত্যাশা করেন। এসময় এক পতাকা ক্রেতা শহরের গণমুখী ফাউন্ডেশনের রিজোনাল ম্যানেজার মনিরুজ্জামান মনির জাগো নিউজকে বলেন, ১০ টাকা দিয়ে পতাকা কিনলাম। এটা যে কোনো মানুষের বড় বিষয় নয়। পতাকাটি আমার ছেলের হাতে দিবো। ছোটবেলা থেকেই যেন দেশের প্রতি তার মমত্ববোধ ও ভালোবাসা তৈরি হয়।আকরামুল ইসলাম/এআরএ/পিআর