আন্তর্জাতিক

থার্টি ফার্স্টে গণ-শ্লীলতাহানির প্রমাণ নেই : বেঙ্গালুরু পুলিশ

ভারতের দক্ষিণাঞ্চলের বেঙ্গালুরু প্রদেশের পুলিশ কমিশনার বলেছেন, শহরের কেন্দ্রে নতুন বছরের রাতে গণ-শ্লীলতাহানির অভিযোগ প্রমাণের কোনো তথ্য-উপাত্ত পাওয়া যায়নি। কমিশনার প্রবীণ সুদ বিবিসিকে বলেন, প্রায় ৭০টির মতো সিসিটিভির ফুটেজ পর্যালোচনা করেছেন পুলিশ কর্মকর্তারা। এর আগে বুধবার পুলিশ ছয়জনকে আটক করেছে বলে জানায়। তবে পুলিশ কর্মকর্তা সুদ বলেন, শহরের অন্য অংশে ভিন্ন একটি ঘটনায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে তাদের আটক করা হয়েছে।তিনি বলেন, বেশ কিছু মানুষ একটি ফুটেজ পুলিশের নজরে এনেছিল, তারা বলেছিল, বাড়ির কাছে এক নারীর ওপর হামলা চালিয়েছিলেন দুই মোটরসাইকেল আরোহী। পুলিশ কমিশনার প্রবীণ সুদ বলেন, ‘আমরা এটি খতিয়ে দেখেছি। এতে গুরুতর শ্লীলতাহানির চিত্র স্পষ্ট। আমরা অপেক্ষা করিনি; এমনকি ভুক্তভোগী কে সে বিষয়টিও বিবেচনায় নেইনি, আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদও করিনি, তার পরিচয় গোপন রাখতে চেয়েছি। এ ঘটনায় একটি ফৌজদারি মামলা করেছি।’তবে বেঙ্গালুরুর কেন্দ্রে যৌন-নিপীড়নের ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করেছেন পুলিশের এ কর্মকর্তা। এর আগে শনিবার রাতে নতুন বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে গণ-শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। ওইদিন রাতে বেঙ্গালুরুর এমজি রোডে ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ অংশ নিয়েছিল। এ সময় দেড় হাজার পুলিশ মোতায়েন থাকলেও ওই সময় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে। এর মধ্যে দেশটির এক মুখ্যমন্ত্রী যৌন-নিপীড়নের ঘটনার জন্য তরুণীদের পশ্চিমা পোশাককে দায়ী করে সমালোচনার মুখে পড়েছেন। প্রবীণ সুদ বলেছেন, গণমাধ্যমে গণ-শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনে যে ফুটেজ প্রচার করা হচ্ছে মূলত সেসব ফুটেজ লোকজনকে সরিয়ে দেয়ার সময় ধারণ করা হয়েছে। এতে দেখা যাচ্ছে, পুলিশ লোকজনকে ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জের চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, লোকজন দৌড়াচ্ছে, সেখানে অনেক তরুণীও ছিল। আতঙ্ক তৈরি হওয়ায় অনেক তরুণ-তরুণী আলাদা হয়ে যাচ্ছিল, তারা কান্নাকাটি করছিল...এতে ৩০ সেকেন্ডের মতো গণ-শ্লীলতাহানি হয়েছে বলে গুজব রটেছে। তবে আমি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলছি যে, এ ধরনের কোনো ঘটনাই ঘটেনি।ওইদিন রাতে বেশ কয়েকজন নারী অভিযোগ করেন, একদল মানুষ তাদের ঘিরে ধরে যৌন-নিপীড়ন করেছে। গণ-আবেদনের পরও যৌন হয়রানি ও নিপীড়নের অভিযোগ দায়েরের জন্য কেউ এগিয়ে আসছেন না। এর আগে বেঙ্গালুরুর পুজা নামের এক নারী; যিনি মার্কেটিং পেশার সঙ্গে জড়িত তিনি বিবিসিকে বলেন, তিনি বারে ও রাস্তায় বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য হাঁটার সময় হয়রানির শিকার হয়েছিলেন।  সূত্র : বিবিসি, হিন্দুস্তান টাইমস।এসআইএস/এমএস