‘ল্যাবরেটরিতে স্বর্ণ তৈরি করা সম্ভব’ বলে জানিয়েছেন মালয়েশিয়া প্রবাসী আরিফুল ইসলাম। মালয়েশিয়া থেকে টেলিফোনে জাগো নিউজের কাছে এমনটি দাবি করেছেন তিনি।সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকারের একসেস টু ইনফরমেশনের (এটুআই) হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট মিডিয়ার আয়োজনে ‘উদ্ভাবকের খোঁজে’ অনুষ্ঠানে পরোক্ষভাবে অংশ নিয়েছিলেন আরিফুল ইসলাম। সেখানে তিনি তাঁর উদ্ভাবিত দুটি প্রকল্প ‘ল্যাবে স্বর্ণ তৈরি’ ও ‘পরমাণু নিষ্ক্রিয়করণে ক্যাডমিয়াম’ স্ত্রীসহ পরিচিত কয়েকজনের মাধ্যমে প্রদর্শন করেছেন। গত মাসের ২৬, ২৭ ও ২৮ তারিখে খুলনা বিভাগের সাতক্ষীরা জেলার রাজ্জাক পার্কে অনুষ্ঠিত এই উদ্ভাবনী মেলায় তাঁর এই দুটি বিশেষ উদ্ভাবন দেখে মুগ্ধ হয়েছেন অনেকেই।তারপর দেশের কয়েকটি গণমাধ্যমে তাঁর এই ল্যাবে স্বর্ণ তৈরির খবর প্রকাশ হলে জাগো নিউজের অনুসন্ধানে মিলেছে এই আরিফুল ইসলামের খোঁজ। সম্প্রতি তিনি এই প্রতিবেদকের সঙ্গে মুঠোফোনে মালয়েশিয়া থেকে কথাও বলেছেন। আরিফুল ইসলাম সাতক্ষীরা জেলার নলতা ইউনিয়নের শেহারা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম মোহাম্মদ আবুল হোসেন। স্বর্ণ তৈরির ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি জাগো নিউজের কাছে দাবি করেছেন, ‘২০০৯-২০১০ সালের দিকে তিনি প্রথম স্বর্ণ তৈরি করেছেন এবং স্বর্ণ আসল কিনা সেটা পরীক্ষাও করিয়েছেন।’ এতদিন কেন এমন তথ্য প্রকাশ করেননি এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, মানুষের বিশ্বাস পাবো কিনা সে কারণেই এটা প্রকাশ করিনি। কিন্তু সম্প্রতি একসেস টু ইনফরমেশনের (এটুআই) হেল্প লাইনে এই প্রকল্পের ব্যাপারে আমি কথা বলি এবং তারা আমাকে এটা প্রদর্শন করতে উৎসাহ দেন। সে কারণে আমি আমার স্ত্রীসহ পরিচিত কয়েকজনের মাধ্যমে এই প্রকল্পটি প্রদর্শন করাই। তিনি দাবি করেন, পৃষ্ঠপোষকতা পেলে ল্যাবে স্বর্ণ তৈরি করে দেখাবেন তিনি।এখন তিনি স্বর্ণ তৈরি করে দেখাতে পারবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে আরিফুল ইসলাম জানান, এটা অনেক ব্যয়বহুল ও সময়সাপেক্ষ প্রজেক্ট। তবে সরকারি বা ব্যক্তির পৃষ্ঠপোষকতা পেলে ল্যাবরেটরিতে স্বর্ণ তৈরি করে দেখানো সম্ভব। এছাড়া সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে উদ্ভাবনা নিয়ে শুরু হতে যাওয়া দেশের বৃহত্তম টিভি রিয়েলিটি শোতে অংশ নেবেন তিনি। আর এখানেই তিনি তাঁর প্রকল্প দেখিয়ে সবাইকে তাক লাগাবেন।আরিফুল ইসলাম ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে জাগো নিউজকে জানান, দুই বছর আগে তিনি মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমিয়েছেন। দেশে থাকাকালীন তিনি কমিউনিটি রেডিও ‘রেডিও নলতা’র কারিগরি বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন। পড়াশোনার প্রবল ইচ্ছা থাকলেও অর্থাভাবে পড়াশোনা করেছেন উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত।এসইউ/পিআর