ভ্রমণ

প্রত্নতত্ত্বের সন্ধানে উয়ারী-বটেশ্বর

ভ্রমণ শুধু চিত্তবিনোদনের জন্যই নয়। অনেকের কাছে তা শিক্ষণীয় বিষয়ও বটে। তাই তো তারা ভ্রমণের ভেতর দিয়ে শিখে নেন অনেক অজানা অধ্যায়। যারা ভ্রমণে ইতিহাস-ঐতেহ্যের সন্ধান করেন; তাদের জন্য উয়ারী-বটেশ্বর একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান। অবস্থাননরসিংদী জেলার বেলাব উপজেলা থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত উয়ারী-বটেশ্বর।ইতিহাসউয়ারী এবং বটেশ্বর গ্রাম দু’টি ছাপাঙ্কিত রৌপ্যমুদ্রার প্রাপ্তিস্থান হিসেবে পরিচিত। গ্লাইসটোসিন যুগে গঠিত মধুপুর গড়ের পূর্ব সীমান্তে অবস্থিত এ গ্রাম দু’টিতেই নিবিড় অনুসন্ধান ও সীমিত প্রত্নতাত্ত্বিক খননে আবিষ্কৃত হয়েছে আড়াই হাজার বছরের প্রাচীন দুর্গ।আবিষ্কারপ্রত্নতাত্ত্বিক খননে উয়ারী প্রত্নস্থলে আবিষ্কৃত হয়েছে ৬০০ মিটার x ৬০০ মিটার আয়তনের চারটি মাটির দুর্গ-প্রাচীর। দুর্গ প্রাচীরের ৫-৭ ফুট উঁচু ধ্বংসপ্রাপ্ত কিছু অংশ এখনো টিকে আছে। এছাড়াও দুর্গের চারিদিকে রয়েছে পরিখা। ভরাট হলেও পূর্ব প্রান্তের পরিখার চিহ্ন এখনো দৃশ্যমান। দুর্গের পশ্চিম, দক্ষিণ-পশ্চিম ও দক্ষিণ-পূর্ব দিকে প্রায় ৫.৮ কিলোমিটার দীর্ঘ, ২০ মিটার প্রশস্ত ও ১০ মিটার উঁচু ‘অসম রাজার গড়’ নামে একটি মাটির বাঁধ রয়েছে। সম্ভবত এটি দ্বিতীয় দুর্গ প্রাচীর হিসেবে উয়ারী দুর্গনগরের প্রতিরক্ষার কাজ করত।কীভাবে যাবেনঢাকা-চট্টগ্রাম সড়ক পার হয়ে বামে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ধরে কিছুদূর এগোলেই নরসিংদী। ঢাকা থেকে নরসিংদীর দূরত্ব ৫৪ কিলোমিটার। গুলিস্তান, সায়দাবাদ থেকে বাস পাওয়া যায়। যেতে সময় লাগে দেড়ঘণ্টা। ট্রেনেও নরসিংদী যাওয়া যায়। এছাড়া কমলাপুর থেকে ট্রেন পাওয়া যায়। যেতে সময় লাগবে ১ ঘণ্টার মত।যেখানে থাকবেনউয়ারী-বটেশ্বরের ধানক্ষেতের পাশে একটি সরকারি গেস্ট হাউস আছে। গেস্ট হাউসটিতে বুকিং দেয়া একদম সহজ, ভাড়াও কম। বাজার ও রান্নার দায়িত্ব দিতে পারেন কেয়ারটেকারের ওপর।এসইউ/পিআর