মতামত

এই সাফল্য ধরে রাখতে হবে

বাংলাদেশে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মত বিরোধের অন্যতম কারণ নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা নিয়ে। এর অন্তর্নিহিত প্রতিপাদ্য হচ্ছে নির্বাচন কমিশন যেন প্রভাবমুক্ত হয়ে নির্বাচন পরিচালনা করতে পারে। যাতে মানুষ যেন নির্বিঘ্নে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারে। ফলাফলে যেন জন রায়ের প্রতিফলন ঘটে। এই বাস্তবতায় নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করার কথা বলা হয় সকল মহল থেকেই।

বস্তুত গণতন্ত্রের ভিত্তি মঝবুত করতে হলে শক্তিশালী নির্বাচন কমিশনের কোনো বিকল্প নেই। সদ্য গঠিত নির্বাচন কমিশনের কাছে তাই জনপ্রত্যাশা অনেক। এই কমিশনের অধীনেই প্রথম বড় দুটি নির্বাচন হল গত বৃহস্পতিবার। সংসদের সুনামগঞ্জ-২ আসনে  (দিরাই-শাল্লা) উপনির্বাচন এবং কুমিল্লা সিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে একই দিনে।

স্বস্তির বিষয় হচ্ছে দুটি নির্বাচনই সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সুনামগঞ্জে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জয়া সেনগুপ্তা বিজয়ী হয়েছেন অন্যদিকে কুমিল্লা সিটিতে বিএনপির প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু বিজয়ী হয়েছেন। আওয়ামী লীগ প্রার্থী আঞ্জুম সুলতানা সীমা বিজয়ী বিএনপি প্রার্থীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। মূলত এটিই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। ভোটে জিতলে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে আর না জিতলে কারচুপি হয়েছে এই ধরনের মানসিকতা যেখানে বিরাজমান সেখানে পরাজয় মেনে বিজয়ী প্রার্থীকে অভিনন্দন জানানো স্বস্তিদায়ক এবং অনুসরণযোগ্য।

নির্বাচনী সংস্কৃতিতে এই ইতিবাচক ধারা অব্যাহত রাখা অত্যন্ত জরুরি। যে দুটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে গেল তাতে বর্তমান কমিশনের ওপর রাজনৈতিক দল এবং ভোটারদের আস্থা বাড়বে। নির্বাচন কমিশনকেও তাদের ওপর আস্থা ধরে রাখতে কুমিল্লা ও সুনামগঞ্জের পথেই হাঁটতে হবে। স্থানীয় প্রশাসন, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী এবং ভোটার-সমর্থরা এই নির্বাচনে যে ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছেন সেটিও অভিনন্দনযোগ্য।

এইচআর/এমএস