পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) বলছে, বাংলাদেশে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের আনুপাতিক হার সবচেয়ে বেশি। তবে এসব বিনিয়োগকারীর এককভাবে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত গ্রহণের সক্ষমতা ও প্রবণতা নেই। তাই তারা গুজবভিত্তিক বিনিয়োগ করে এবং বড় বিনিয়োগকারীদের অনুসরণ করে।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির পক্ষে এসব কথা বলেন নির্বাহী পরিচালক মাহবুবুল আলম। বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহ ২০১৭ উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য আইনি কাঠামো প্রণয়ন ও প্রয়োগ করা হচ্ছে জানিয়ে মাহবুবুব আলম বলেন, সার্বক্ষণিক বাজার নজরদারি ও তদারকি করা, তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোতে প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন প্রতিষ্ঠা, বাজার মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর জবাবদিহিতা বৃদ্ধি, বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ দ্রুত নিষ্পত্তি, যথাযথ শাস্তি প্রদানসহ নানা পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে বিএসইসি বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা বিধানের পথ প্রশস্ত করেছে।
তিনি বলেন, গুজব ও অনুসরণভিত্তিক বিনিয়োগ করলে, তা থেকে ভবিষ্যতে মুনাফা অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। এমনকি বিনিয়োগ করা অর্থ ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যায়। তাই বিএসইসি দেশব্যাপী বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, যা গত ৮ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করেন।
তিনি জানান, আইওএসসিও-এর ঘোষিত ‘বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহ ২০১৭’ বাংলাদেশে যথাযথভাবে পালন করা হবে। এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রমকে তুলে ধরার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সবার সহায়তায় এই কার্যক্রমকে বহুদূর এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব।
বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রমকে সফলভাবে সারাদেশের বিনিয়োগকারী ও জনগণের দোরগোড়ায় পোঁছে দেয়া সম্ভব হবে এমন আশা প্রকাশ করে বিএসইসির এই নির্বাহী পরিচালক বলেন, এর মাধ্যমে অর্থনীতি ও বিনিয়োগের বিভিন্ন দিক বিনিয়োগকারীরা বুঝতে সক্ষম হবেন। এতে বিনিয়োগকারীরা সচেতন হবেন এবং গুজব ও প্রলোভন থেকে বেরিয়ে আসবেন। এই সংস্কৃতি গড়ে তোলাই বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রমের উদ্দেশ্য।
এমএএস/ওআর/জেআইএম