বগুড়ার শেরপুরের সাতারা পশ্চিমপাড়া থেকে অন্তসত্তা গৃহবধু আয়শা খাতুনের (২০) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে পুলিশ নিহতের স্বামীর বাড়ির বারান্দা থেকে লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।নিহতের স্বজনেরা দাবি করেছে আয়শা খাতুনকে শয়নঘরের বাঁশের তীরের সাথে ঝুঁলিয়ে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে। যৌতুকের টাকা না পেয়ে আয়শার স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে আত্মহত্যার প্রচার চালিয়েছে। এ দাবি নিহত আয়শার মামা ইয়াছিন আলীর।শেরপুর থানা পুলিশের এসআই রাজু কামাল জাগোনিউজকে জানান, লাশটি উদ্ধারের সময় নিহতের স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির কাউকে পাওয়া যায়নি।জানা যায়, একবছর তিনমাস আগে উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের মির্জাপুর সরকারপাড়া গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের মেয়ে আয়শা খাতুনের সাথে উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের সাতারা পশ্চিমপাড়া গ্রামের মোজাহার আলীর ছেলে মাসুদ রানার বিয়ে হয়।নিহত আয়শার মামা ইয়াছিন আলী জানান, বিয়ের সময় তাঁরা মেয়েকে তিন ভরি স্বর্নের গহনাসহ মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে আসবাবপত্রও দিয়েছেন। বাকী ছিল শুধু যৌতুকের ৫০ হাজার টাকা। এই টাকা তারা সময়মত দিতে না পারায় মাসুদ রানাসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন আয়শাকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করত। এই নির্যাতন নিয়ে পারিবারিকভাবে দুই-তিনবার সালিশও হয়েছে। সালিশে তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে এই টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন। তিনি দাবি করেন, যৌতুকের টাকা না পেয়ে তার ভাগ্নিকে মাসুদ রানাসহ ভাগ্নির শ্বশুরবাড়ির লোকজন পরিকল্পিত ভাবে আয়শাকে ঘরের বাঁশের তীরের সাথে গলায় কাপড় পেঁচিয়ে ঝুলিয়ে হত্যা করে গ্রামের লোকজনের কাছে আয়শা আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার করে। এসময় আয়শার বাবা দেলোয়ার হোসেন কান্নায় ভেঙে পড়ে তিনি তার মেয়ের হত্যার বিচার দাবি করেন।এদিকে স্বামী মাসুদ রানা দাবি করেন, তিনি যৌতুকের টাকা চাননি। দাবিও করেননি। তার স্ত্রী দুইমাসের গর্ভবতী ছিল। তার দাবি পেটে ব্যাথার কারণে গলায় কাপড় পেঁচিয়ে ঘরে আত্মহত্যা করেছে আয়শা।শেরপুর থানার ওসি আলী আহমেদ হাশমী জাগোনিউজকে জানান, এই মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।লিমন বাসার/টিআই