পরিকল্পনা মতোই এগুচ্ছে বাংলাদেশের খেলা। লক্ষ্য ছিল চার পেসার নিয়ে জিম্বাবুয়ের মোকাবেলা করবে টাইগাররা। কিন্তু বিশ্লেষনে উঠে এলো, জিম্বাবুয়ে সবচেয়ে বেশি দুর্বল স্পিনে। এ কারণে সাকিব আল হাসানের সঙ্গে স্পেশালিস্ট স্পিনার হিসেবে দলে নেয়া হলো সানজামুল ইসলামকে। জিম্বাবুয়ে দলে ডান হাতি ব্যাটসম্যানের আধিক্য থাকার কারণে মেহেদী হাসান মিরাজের কপাল পুড়লো।
আস্থার প্রতিদান দিলেন সানজামুল। সাকিব আল হাসানের সঙ্গে মিলে মাশরাফি এবং মোস্তাফিজও যখন জিম্বাবুয়ে ব্যাটসম্যানদের চেপে ধরার কাজটি দারুণভাবে সম্পন্ন করছেন, তখন তাদের সঙ্গে যোগ দিলেন সানজামুল ইসলামও। পঞ্চম উইকেট হিসেবে সানজামুলের বলে বিদায় নিলেন ম্যালকম ওয়ালার।
অফ স্ট্যাম্পের উপর বল রেখেছিলেন সানজামুল। কাট করার চেষ্টা করেছিলেন ওয়ালার। কিন্তু বল চলে গেলে ব্যাটের কানায় লেগে প্রথম স্লিপে। অসাধারণ ক্যাচ ধরলেন সাব্বির রহমান। ১৩ রান করে ফিরলেন ওয়ালার। জিম্বাবুয়ের রান ছিল তখন ৮১।
তবে ওয়ালার আউট হওয়ার পর সিকান্দার রাজা আর পিটার মুর মিলে জিম্বাবুয়েকে এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছেন। এ রিপোর্ট লেখার সময় জিম্বাবুয়ের রান ৩১.৫ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১০৫। ৩৬ রানে ব্যাট করছেন সিকান্দার রাজা এবং ৮ রানে পিটার মুর।
এর আগে মাসাকাদজার পর জিম্বাবুয়ের আরেক অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান ব্রেন্ডন টেলর সাজঘরে ফেরান মোস্তাফিজ। কাটার মাস্টারের বলে কট বিহাইন্ড হয়ে ফিরে যান এই জিম্বাবুইয়ান। মাত্র ৫১ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছে সফরকারী দলটি।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই সাজঘরে ফেরেন মিরে। সাকিবের লেগ স্টাম্পের বাইরের বল গ্ল্যান্স করতে গিয়ে পা চলে আসে ক্রিজের বাইরে। বল ধরে চোখের পলকে বেলস ফেলে দেন মুশফিক। এক বল ব্যবধানে উইকেট পড়ে আরও একটি। বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ক্রেইগ আরভিনকে সাব্বিরের তালুবন্দি করে সাজঘরে ফেরান সাকিব।
বাংলাদেশ দলতামিম ইকবাল, এনামুল হক বিজয়, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহীম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, সাব্বির রহমান, নাসির হোসেন, মাশরাফি বিন মুর্তজা, সানজামুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান, রুবেল হোসেন।
জিম্বাবুয়ে একাদশহ্যামিল্টন মাসাকাদজা, সলোমন মিরে, ক্রেইগ আরভিন, ব্রেন্ডন টেলর, সিকান্দার রাজা, পিটার মুর, ম্যালকম ওয়ালার, গ্রায়েম ক্রেমার (অধিনায়ক), ব্লেসিং মুজারাবানি, টেন্ডাই চাতারা, কাইল জার্ভিস।
আইএইচএস/জেআইএম