কারান্তরীণ থাকায় এবারের স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচিতে নেই বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। বিএনপি প্রধান দেশে থাকার সত্বেও এবারই প্রথম দলের নেতাকর্মীরা তাকে ছাড়াই পালন করছে মহান স্বাধীনতা দিবস।
সোমবার সকালে জাতীয় স্মৃতিসৌধ এবং জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানায় বিএনপি নেতারা। সকাল ৯টার পরে দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা যান জাতীয় স্মৃতিসৌধে। সেখানে শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। পরে বেলা ১১টায় নেতারা শেরেবাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাতে যায়। সেখানে কয়েক হাজার নেতা-কর্মী নিয়ে দলের প্রতিষ্ঠাতার কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তারা। এছাড়া সমাধি প্রাঙ্গণে জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের উদ্যোগে বিশেষ মোনাজাত করেন নেতারা।
খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচিতে অংশ নেয়া কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট রফিক সিকদার জাগো নিউজকে বলেন, প্রচণ্ড ক্ষোভ আছে, ম্যাডামকে কারাগারে রেখে স্বাধীনতা দিবস পালন করলাম। স্বাধীনতার এত বছর পরে স্বাধীনতার ঘোষকের স্ত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী কারারুদ্ধ এবং তাকে ছাড়াই স্মৃতিসৌধ এবং শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানালাম।
তিনি আরও বলেন, নেতাকর্মীদের উপস্থিতিটা আশাব্যাঞ্জক ছিল। কর্মসূচিতে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড.খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উপস্থিত ছিলেন। মোশাররফ স্যার, মহাসচিব তারাও বলেছেন যে নেতা-কর্মীদের উপস্থিতি আশাব্যাঞ্জক’। এ থেকে প্রতিয়মান হয় যে গণতন্ত্রকে মুক্ত করার জন্য, ম্যাডামকে মুক্ত করার জন্য মানুষ কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে রাতে নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় ও মহানগর কার্যালয় আলোকসজ্জা করবে বিএনপি।এছাড়া বিকাল ৩টায় নয়া পল্টনে মহানগর কার্যালয়ের ভাসানী মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা-জাসাস-এর উদ্যোগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ নেতৃবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। আগামী ৩১ মার্চ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
কেএইচ/এএইচ/জেআইএম