২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, রাশিয়া, জার্মানি ও ফ্রান্সের কাছে ইউরোনেয়িাম প্রকল্প সীমিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ইরান যে চুক্তি করেছিল, যুক্তরাষ্ট্র সেই চুক্তি থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণার পর চুক্তি রক্ষায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছ থেকে যথেষ্ট রাজনৈতিক সমর্থন পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ।
ইইউ কোম্পানিগুলোর ইরানে তাদের কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত পরিস্থিতি আরও জটিল করেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। ইইউ অ্যানার্জি কমিশনার মিগুয়েল আরিয়াস সানেতের সঙ্গে বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম আইআরআইবির প্রতিবেদনে জারিফকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, পরমাণু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বেরিয়ে যাওয়ার ফলে ইইউয়ের প্রতি ইরানের আকাঙ্ক্ষা বেড়ে গেছে। কিন্তু এ চুক্তির জন্য ইরানের রাজনৈতিক সমর্থন যথেষ্ট নয়।
আরও পড়ুন : সেনা অভ্যুত্থানের হুমকিতে ইরান?
ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা জারির পর বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান দেশটি থেকে ব্যবসা গুটিয়ে নিচ্ছে।
আরিয়াস সানেতে বলছেন, আমাদরে এ চুক্তি বলবৎ রাখতে হবে, তাহলে আমাদের নতুন চুক্তি নিয়ে দর কষাকাষি করতে হবে না।
চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সরে দাঁড়ানোর প্রেক্ষিতে যদি এই চুক্তিই অকার্যকর হয়ে পড়ে তবে তারা সীমাহীন মাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধির কাজ চালিয়ে যাবে বলে হুমকি দিয়ে রেখেছে।
আরও পড়ুন : ইরানের পার্লামেন্টে উল্লাস, মার্কিন পতাকায় আগুন
যুক্তরাষ্ট্র বলছে, নতুন চুক্তির বিষয়ে দর কষাকষির লক্ষ্যে চাপ প্রয়োগ করতে তারা ইরানের ওপর নানা নিষেধাজ্ঞাও জারি করতে চায়।
ভয়েস অব আমেরিকা।
এনএফ/জেআইএম