ফারমার্স ব্যাংকে জালিয়াতির ঘটনায় ব্যাংকটির অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতীর (বাবুল চিশতী) জামিন কেন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এছাড়া একই মামলায় অপর আসামি ফারমার্স ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ ভাইস প্রেসিডেন্ট জিয়া উদ্দিন আহমেদের আবেদন শুনানির জন্য আগামী ১২ জুন (সোমবার) দিন ধার্য করেছেন আদালত।
বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. শওকত হোসেন ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে বুধবার জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, ’আদালত তাকে (বাবুল চিশতী) কেন জামিন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন। আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া এ মামলায় অপর আসামি ফারমার্স ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ ভাইস প্রেসিডেন্ট জিয়া উদ্দিন আহমেদের আবেদনের শুনানির জন্য আগামী সোমবার (১২ জুন) দিন ধার্য করেছেন আদালত।
এর আগে ২৯ মে মঙ্গলবার বাবুল চিশতীর জামিন আবেদনের উপর শুনানি পর ঢাকার সিনিয়র বিশেষ জজ কামরুল হোসেন মোল্লা জামিনের আবেদন নাকচ করে দেন। এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করেন চিশতী।
গত ১০ এপ্রিল রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে বাবুল চিশতীকে গ্রেফতার করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এর আগে রাজধানীর গুলশান থানায় মামলা করে দুদক। মামলার এজাহারে বলা হয়, ফারমার্স ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে ব্যাংকিং নিয়মের তোয়াক্কা না করে বাবুল চিশতী ব্যাংকটির গুলশান শাখায় একটি সঞ্চয়ী হিসাবে বিপুল পরিমাণ অর্থ জমা ও উত্তোলন করেন।
এরপর বিভিন্ন সময়ে বাবুল চিশতী তার স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে ও তাদের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন শাখায় থাকা মোট ২৫টি হিসাবে অর্থ নগদ ও পে-অর্ডারের মাধ্যমে বিভিন্ন সময় ১৫৯ কোটি ৯৫ লাখ ৪৯ হাজার ৬৪২ টাকার ‘সন্দেহজনক’ লেনদেন করেছেন।
গত ৩ এপ্রিল ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেডের অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক ও তার স্ত্রীসহ ১৭ জনের বিদেশ যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে দুদক। ২০১৩ সালের ৩ জুন চতুর্থ প্রজন্মের ব্যাংক হিসেবে ফারমার্স ব্যাংকের কার্যক্রম শুরু হয়।
এফএইচ/এসআর/এমএস