বয়স মাত্র ২৩। এই সময়ে দেশের হয়ে মাঠ মাতিয়ে বেড়ানোর কথা তার। আর তখনই কি-না বিদায় বলে দিলেন। ইরানের ফুটবলার সরদার আজমাউন সদ্যই বিশ্বকাপ শেষ করে দেশে গিয়ে জাতীয় দল থেকে অবসরের কথা জানালেন। কিন্তু হঠাৎ করেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারণ কী?
বিশ্বকাপে সব ফুটবলারই আসেন নিজেদের সামর্থ্যের সেরাটা দিয়ে দেশের হয়ে কিছু অর্জন করতে। ইরানও এসেছিল। কিন্তু স্পেন-পর্তুগালের সঙ্গে একই গ্রুপে পরে বিশ্বকাপে থেকে বিদায় নেয় তারা।
টুর্নামেণ্টে মোটেও ভালো খেলতে পারেননি ইরানের স্ট্রাইকার সরদার আজমাউন। এজন্য সমর্থকরা দুয়োধ্বনির পাশাপাশি তাকে গালাগালিও করেন। ভক্তদের এমন বাজে ব্যবহার সহ্য করতে না পেরেই অবসরের ঘোষণা দেন তিনি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইন্সটাগ্রামে আবেগতাড়িত এক লেখা পোস্ট করেন আজমাউন। সেখানে তিনি লেখেন, ‘দেশের হয়ে খেলা প্রত্যেক খেলোয়াড়ের জন্যেই স্বপ্ন। আমি এবং আমার সতীর্থরা তাদের পুরো সামর্থ্য দিয়ে বিশ্বকাপে লক্ষাধিক ইরানিয়ানদের পক্ষে চেষ্টা করেছি। কিন্তু আমরা সবাইকে খুশি করতে পারিনি। জাতীয় দলের হয়ে খেলাটা আমাদের জন্য গর্বের এবং আমি জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত এটা নিয়ে গর্ব করে যাবো। দুর্ভাগ্যবশত, আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে হলেও জাতীয় দলের হয়ে আর না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি মাত্র ২৩ বছর বয়স্ক এক যুবক। কিন্তু এইটুকু বয়সেই আমার জীবনের সবচেয়ে কঠিন সিদ্ধান্তটি নিতে হলো।’
আরআর/পিআর