চাঁদপুর জেলায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদফতর (এলজিইডি) ব্যাপক উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। এর মধ্যে যোগাযোগের উন্নয়নে ১০টি ব্রিজ নির্মাণ করছে। এতে প্রায় ৮০ কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে। ইতোমধ্যে ২টি ব্রিজের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। বাকি ৮টি ব্রিজের নির্মাণকাজ দ্রুত এগিয়ে চলেছে। চাঁদপুর ৩ আসনের সংসদ সদস্য ডা. দীপু মনিসহ জেলার অন্যান্য সংসদ সদস্যরা এসব ব্রিজ নির্মাণে অগ্রণী ভূমিকা রাখছেন।
এলজিইডি চাঁদপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী জিএম মুজিবুর রহমান জানান, জেলায় ১০টি ব্রিজের মধ্যে মহামায়া-ছোটসুন্দর-ইসলামপুর ডাকাতিয়া নদীর ওপর ব্রিজের নির্মাণ কাজ চলছে। এ জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৬ কোটি ৮৬ লাখ ৪২ হাজার টাকা। অত্যাধুনিক পদ্ধতিতে তৈরি এ ব্রিজের দৈর্ঘ্য ২৩৪ মিটার, প্রস্থ ২৪ ফুট। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে ব্রিজ নির্মাণ কাজ শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এটি নির্মিত হলে চাঁদপুর সদর ও ফরিদগঞ্জের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হবে। হাজীগঞ্জে ডাকাতিয়া নদীর ওপর বড়কুল ব্রিজের কাজ চলছে। এ জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ২২ কোটি ৪৯ লাখ ৪৮ হাজার টাকা। এছাড়া জমি অধিগ্রহণের জন্য ১২ কোটি ধরা হয়েছে। ২৫০ মিটার দৈর্ঘ্যে এই ব্রিজটি নির্মিত হলে হাজীগঞ্জ-রামগঞ্জের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য উন্নত হবে।
ফরিদগঞ্জে ডাকাতিয়া নদীর ওপর দুকোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে কামতা ব্রিজ। একই উপজেলায় ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ধানুয়া- গাজীপুর-গল্লাকবাজার ব্রিজের নির্মাণ কাজও চলছে। ৯২ মিটার দৈর্ঘ্য এ ব্রিজটি ২০১৯ সালের জুনে শেষ হবে। এছাড়া ২ কোটি ২৪ লাখ টাকা ব্যয়ে গল্লাক বাজার ব্রিজের নির্মাণ কাজ চলছে। এ ব্রিজের দৈর্ঘ্য ৩৬ মিটার। কচুয়া বোয়ালজুরি খালে নোয়াদ্দা সড়কে একটি ব্রিজ নির্মাণ চলছে। যা ২৮ মিটার দৈর্ঘ্য আর এর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ১ কোটি ১৮ লাখ টাকা। মতলব উত্তরের ৫১ মিটার দৈর্ঘ্যরে লধুয়া ব্রিজের নির্মাণ কাজ চলছে। এর ব্যয় ধরা হয়েছে ২ কোটি ৪ লাখ টাকা।
চাঁদপুর সদরে ইব্রাহীমপুর ইউনিয়নের চরফতেহপুরজং ব্রিজের কাজ চলছে। ২৬ মিটার দৈর্ঘের এ ব্রিজের ব্যয় ধরা হয়েছে ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এছাড়া ইতোমধ্যে কচুয়ায় ১ কোটি ২৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ৩৪ মিটার দৈর্ঘ্যে নিন্দপুর ব্রিজ এবং একই উপজেলার রঘুনাপুর এলাকায় উদুরিয়া খালে ২০ মিটার দৈর্ঘ্য ব্রিজ নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১ কোটি ১২ লাখ টাকা। ইতোমধ্যে ব্রিজের দুটি কাজ শেষ হয়েছে।
তিনি জানান, ১০টি ব্রিজের মধ্যে ইতোমধ্যে কচুয়ায় ২টি ব্রিজের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে বাকি সব ব্রিজের নির্মাণকাজ শেষ হবে।
প্রকৌশলী জিএম মুজিবর রহমান আরও জানান, ব্রিজগুলো নির্মিত হলে জেলার বিভিন্ন উপজেলার সঙ্গে এবং ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটবে। জনগণের দুর্ভোগ কমবে। একই সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে।
ইকরাম চৌধুরী/আরএ/এমএস