মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে গঠিত কোটা পর্যালোচনা কমিটি বেতন কাঠামোর নবম থেকে ১৩তম গ্রেড (আগের প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরি) পর্যন্ত সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে সব ধরনের কোটা বাতিলের সুপারিশ করলেও এতে পূর্ণ আস্থা রাখতে পারছেন না কোটা সংস্কারের সঙ্গে জড়িত আন্দোলনকারীরা। তাই প্রজ্ঞাপন না হওয়া পর্যন্ত নিজেদের কর্মসূচি অব্যাহত রাখা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক নুর।
সোমবার বিকেল ৫টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করে তাদের অবস্থান জানাবেন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা।
মুঠোফোনে জাগো নিউজকে তিনি বলেন, এটাতো মাত্র একটা সুপারিশ। যেখানে প্রধানমন্ত্রী সংসদে বলেছেন, কোটা থাকবে না সেটারও বাস্তবায়ন হয়নি- এটা কতটুকু কার্যকর হবে, সেটাতো বুঝতে পারতেছি না এখনও। তারপরও সরকার যেহেতু একটা কমিটি গঠন করেছে, আমরা সেটাকে সতর্কতা এবং গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখছি।
তিনি বলেন, কমিটি প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির ক্ষেত্রে কোটা তুলে দেয়ার কথা বলেছে, সেটাকে স্বাগত জানাই। তবে প্রজ্ঞাপন না দেয়া পর্যন্ত আমাদের যে কর্মসূচি ধারাবাহিক ও নিয়মতান্ত্রিকভাবে চলবে। আর যদি সরকার প্রজ্ঞাপন দেয় তাহলে সরকার আমাদের দাবি ধাওয়াটা কিছুটা হলেও মেনে নিয়েছে। কিন্তু আমাদের যে আরও দু’টি দাবি ছিল যে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে এবং কোটা আন্দোলন ও নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীদের বিচার করতে হবে, সেগুলো মেনে নিতে হবে।
এমএইচ/জেএইচ/এমএস