ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকে বসতে প্রস্তাব দিয়েছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ভারত এই প্রস্তাবে প্রথমে রাজি হয়েও শেষ মুহূর্তে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ এনে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।
সন্ত্রাসবাদ ও আলোচনা একসঙ্গে চলতে পারে না বলে জানিয়ে দিয়েছে নয়াদিল্লি। কাশ্মির সীমান্তে বিএসএফ জওয়ানের ছিন্ন-ভিন্ন মরদেহ উদ্ধারের পর পাকিস্তানের সঙ্গে সব ধরনের আলোচনা থেকে সরে এসেছে ভারত।
এই পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তান এবার নিজেদের অসন্তোষের কথা প্রকাশ্যে জানিয়েছে। ইসলামাবাদের যুক্তি, নয়াদিল্লি বৈঠক বাতিলের যে কারণ জানিয়েছে তা একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। পাকিস্তান সেনার ভারতীয় বিএসএফ জওয়ান খুনে কোনো হাত নেই।
আরও পড়ুন : অজানা রহস্য : শুধুই যমজ শিশুর জন্ম হয় যে শহরে
পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান আরও একধাপ এগিয়ে নাম উল্লেখ না করে ভারতের সর্বোচ্চ নেতাদের উদ্দেশে অবমাননাকর মন্তব্য করে টুইট করেছেন।
টুইটে ইমরান বলেছেন, আমার প্রস্তাব সত্ত্বেও ভারতের বৈঠক বাতিল করে দেয়ার মতো ঘটনা ঔদ্ধত্যপূর্ণ ও নেতিবাচক ভাবনা। সারাজীবন দেখে এসেছি, ক্ষুদ্র ব্যক্তিত্বরা বড় পদে বসে থাকেন। যাদের ভবিষ্যৎ দেখার কোনো দূরদৃষ্টি নেই।
পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রীর কথায়, ভারত এক পা বাড়ালে, পাকিস্তান দুই পা বাড়াবে। সেই প্রস্তুতি নিয়েই ভারতের সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল। তবে যেভাবে বৈঠক ভেস্তে দেওয়া হল তা দুর্ভাগ্যজনক। ওয়ান ইন্ডিয়া।
এসআইএস/জেআইএম