দেশজুড়ে

আসন পেলেন না বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আজম

২০০১ সালে জামায়াতসহ ১৪ দল নিয়ে জোটবদ্ধ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইলের ৮টি সংসদীয় আসনেরই বণ্টন পায় বিএনপি। যদিও আসন্ন একাদশ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীক ও বিএনপিসহ সমমনা দলগুলোর অংশগ্রহণে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট আর প্রার্থিতা বণ্টনে জেলার ৮টি সংসদীয় আসনের ৭টি পেয়েছে বিএনপি।

তবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম নেতা ও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তমের নির্বাচনী আসন টাঙ্গাইল-৮ (সখীপুর-বাসাইল) হওয়ায় আর আসন বণ্টনের কারণে নিজ নির্বাচনী আসনটি হারালেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান।

এছাড়া ২০০১ এর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেলার সংসদীয় ৮টি আসনের ৬টিতে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী বিজয়ী হলেও টাঙ্গাইল-১ (ধনবাড়ী-মধুপুর) ও টাঙ্গাইল-৮ (সখীপুর-বাসাইল) আসনের মনোনীত প্রার্থীরা পরাজিত হন।

এ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-১ আসনে (ধনবাড়ী-মধুপুর) বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ছিলেন মাহবুবুল আনাম স্বপন ফকির ও টাঙ্গাইল-৮ (সখীপুর-বাসাইল) আসনে অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান।

জানা যায়, ২০০১ ও ২০০৮ এর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৮ (সখীপুর-বাসাইল) আসনের মনোনীত প্রার্থী ছিলেন অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান। এছাড়া তিনি ২০০৭ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সভাপতি ছিলেন।

তবে ২০০১ এর নির্বাচনে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা ও দলীয় প্রার্থী বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তমের সঙ্গে পরাজিত হন তিনি। পরবর্তী ২০০৯ এর নির্বাচনেও বিএনপির প্রার্থী হলেও তিনি মহাজোট সরকারের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী কৃষিবিদ শওকত মোমেন শাহজাহানের কাছে পরাজিত হন।

এছাড়া মুক্তিযুদ্ধের কিংবদন্তি খ্যাত কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম এ আসন থেকে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এ সত্ত্বেও তিনি দলীয় মতবিরোধের কারণে আওয়ামী লীগ ছেড়ে গঠন করেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ। ফলে আসনটির সংসদ সদস্য পদটি শূন্য হয়। পরবর্তীতে ১৯৯৯ সালে আসনটির উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী প্রয়াত শওকত মোমেন শাহজাহানের কাছে পরাজিত হন তিনি।

সর্বশেষ ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসন থেকেই কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা কাদের সিদ্দিকী সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। টাঙ্গাইল-৮ (সখীপুর-বাসাইল) আসনে মোট দুবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।

এ প্রসঙ্গে টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফরহাদ ইকবাল জানান, একাদশ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীক ও বিএনপিসহ সমমনা দলগুলোকে নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন হয়েছে।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের গুরুত্বপূর্ণ নেতা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম। অথচ বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হওয়া সত্ত্বেও এ আসনটির প্রার্থী হতে পারেননি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান বলেও জানান তিনি।

আরিফ উর রহমান টগর/এমএএস/জেআইএম