সাতক্ষীরা-খুলনা মহাসড়কে চলছে উন্নয়নকাজ। সড়কের উন্নয়নকে ঘিরে সর্বসাধারণ পড়েছেন ভোগান্তির কবলে। সড়কে খানাখন্দ, কোথাও সড়ক কেটে করা হচ্ছে কালভার্ট। উন্নয়নকাজের গতি ধীর হওয়ায় চরম আকার ধারণ করেছে ভোগান্তি।
এদিকে, ধুলায় অন্ধকার সড়কে চলাচলে প্রতিদিন চরম ভোগান্তি পোহান সাধারণ মানুষ। ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা। সড়কের বেহাল অবস্থার কারণে পথিমধ্যে আটকা পড়ে যানবাহন।
সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থানার শাকদাহ এলাকার আব্দুল গফফার বলেন, পাটকেলঘাটা থেকে সাতক্ষীরা যাওয়ার জন্য সাধারণ মানুষের কোনো উপায় নেই। ধুলাবালুতে অন্ধকার সড়ক। ধুলায় বাড়িতে বসবাস করা কষ্টসাধ্য। ধুলার দুর্ভোগের হাত থেকে বাঁচতে মাঝেমধ্যে ভাঙা সড়কে পানি দিতে হয় আমাদের।
শহরের খুলনা রোড এলাকার বাসিন্দা মোটরসাইকেল চালক তোহা খান বলেন, ছয় মাস আগ থেকে সংস্কারকাজ শুরু হয়েছে সাতক্ষীরা-খুলনা সড়কের। গত ছয় মাসে সংস্কারকাজের কোনো অগ্রগতি নেই। ঢিমেতালে চলছে সড়ক সংস্কারেরকাজ। বাস, ইজিবাইক ও ভ্যানসহ পথচারীদের চলাচলের দুর্ভোগ সীমাহীন।
তিনি বলেন, ধুলাবালুর হাত থেকে বাঁচতে মাঝেমধ্যে সাতক্ষীরা বিজিবি ক্যাম্প এলাকায় সড়কে পানি দেয়া হয়। তবে বিনেরপোতা থেকে ৩০ মাইল এলাকায় দুর্ভোগ নিরসনে কোনো পদক্ষেপ নেই। উন্নয়নের নামে দুর্ভোগ পোহাতে হয় আমাদের।
এ বিষয়ে সাতক্ষীরা সড়ক ও জনপদ বিভাগের প্রকৌশলী মঞ্জুরুল করিম জাগো নিউজকে বলেন, খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার ১৮ মাইল এলাকা থেকে শুভাশুনি পর্যন্ত ১৯ কোটি টাকা, শুভাশুনি থেকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল পর্যন্ত ৮২ কোটি টাকার সড়ক সংস্কারকাজ চলমান। এই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে ২০২০ সালের জুন মাসে।
সড়কে দুর্ভোগ ও সংস্কারকাজ ধীরগতির বিষয়ে তিনি বলেন, সড়কের উন্নয়নকাজ চলমান। একটু দুর্ভোগ তো পোহাতেই হবে। ভালো কিছু পেতে হলে একটু কষ্ট সহ্য করতে হয়। তবে দুর্ভোগ নিরসনে আমরা সকাল ও বিকেল দু’বেলা সড়কে পানি দেয়ার নির্দেশ দিয়েছি। এখন গরমের সময়, পানি দিলেও শুকিয়ে যায়। এরপরও দুর্ভোগ লাঘবে বিষয়টি মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে।
আকরামুল ইসলাম/এএম/জেআইএম