হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত নেত্রকোনা দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ও আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম মোহাম্মদ খান পাঠান বিমলের পিপি পদ ও আইনজীবী সনদ বাতিল করে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ বহাল রেখেছেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ।
হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে বিমলের লিভ টু আপিল খারিজ করে সোমবার আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলীর নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে আজ রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান ও মোহাম্মদ হোসাইন। বিমলের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ফিদা এম কামাল ও এ এম আমিন উদ্দিন।
এর আগে ২০১৭ সালের ১২ ডিসেম্বর বিমলের পিপি পদ ও বাংলাদেশ বার কাউন্সিল খেকে পাওয়া আইনজীবী সনদ বাতিল করেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে হাইকোর্টের বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে বিমলের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন,রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ হোসেন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল জেসমিন সামসাদ।
মামলার বিবরণে জানা যায়, শ্বশুরকে হত্যার দায়ে ১৯৮৬ সালে নেত্রকোনা দায়রা জজ আদালতে গোলাম পাঠানের যাবজ্জীবন সাজা হয়। হাইকোর্ট নিম্ন আদালতের রায় বহাল রাখেন। এরপর হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালতে আপিল করেন সাজাপ্রাপ্ত গোলাম মোহাম্মদ খান পাঠান।
আপিল নিষ্পত্তি হওয়ার আগেই রাষ্ট্রপতির মার্জনা পেয়ে ১৯৯৫ সালে তিনি কারাগার থেকে বেরিয়ে আসেন। এরপর রাজনীতির পাশাপাশি আইন পেশায় যুক্ত হন গোলাম পাঠান। ২০০৯ সালের ২ এপ্রিল তিনি পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ পান।
পরে সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তির পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব পালনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেন নেত্রকোনা সদরের বাসিন্দা মো. মোশারফ হেসেন।
ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের একই বেঞ্চ ২০১৭ সালের ৮ আগস্ট পিপির কার্যক্রমে স্থগিতাদেশ দেন এবং পাশাপাশি রুল জারি করেন। সেই রুলের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে আদালত গোলাম মোহাম্মদ খানের পিপি পদ ও আইনজীবী সনদ বাতিল করেন। গোলাম মোহাম্মদ খান পাঠান নেত্রকোনা সদর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি সাবেক যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়ের মামা।
এফএইচ/এনএফ/এমকেএইচ