বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার মত শক্তিশালী দলকে দোর্দণ্ড প্রতাপে হারিয়ে শুভ সূচনা করেছে বাংলাদেশ। লন্ডনের দ্য ওভালে প্রথমে ব্যাট করে ৩৩১ রানের বিশাল লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ। জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকা করেছিল ৩০৯ রান। ২১ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে টাইগাররা।
বাংলাদেশের এই জয়ের পর অনেকেই একে বিশ্বকাপের প্রথম অঘটন হিসেবে দাবি করছেন। ভারতীয় মিডিয়া তো বলতে গেলে উঠে-পড়েই লেগেছে, একে অঘটন হিসেবে চালিয়ে দিতে। ভারতের এনডিটিভি পর্যন্ত রিপোর্ট করছে, বাংলাদেশের জয় বিশ্বকাপের অঘটন।
নিউজিল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক ব্রেন্ডন ম্যাককালাম তো বিশ্বকাপের আগেই ভবিষ্যদ্বাণী করে দিয়েছেন, শ্রীলঙ্কাছাড়া আর কোনো দলের বিপক্ষে জিততে পারবে না বাংলাদেশ। কিন্তু টাইগাররা দেখিয়ে দিলো প্রথম ম্যাচ থেকেই। দক্ষিণ আফ্রিকার মত দলকে হারিয়ে।
বাংলাদেশের এই জয়কে যে অঘটন বলা হচ্ছে, এটা কোনোভাবেই মানতে রাজি নন টিম ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজন। আজ লন্ডনে টিম হোটেলের সামনে জাগো নিউজের সঙ্গে আলাপকালে বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজন জানালেন, এটা কোনোভাবেই অঘটন নয়।
সুজন বলেন, ‘এটা কোনো অঘটন নয়। যে যাই ভাবুক, শুধু ফিল্ডিংয়ে কয়েকটি ক্যাচ মিস করা ছাড়া আমরা নিজেদের শক্তিতেই এবং শ্রেয়তর দল হিসেবেই দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়েছি। আমাদের লক্ষ্য যেহেতু সেমিফাইনালে খেলা, তাই এমন পারফরম্যান্স আমাদের খুব জরুরি। তারপরও ফিল্ডিং এবং ক্যাচিংটা আরও ভালো হওয়া দরকার।’
দক্ষিণ আফ্রিকাকে বিশ্বকাপে এ নিয়ে দু’বার হারিয়েছে বাংলাদেশ। ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে সুপার এইটে প্রথম হারিয়েছিল বাংলাদেশ। একযুগ পর আবারও। অথচ ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কার মত দলগুলোও বিশ্বকাপে একবারের বেশি দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারাতে পারেনি।
শুধু তাই নয়, ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকাকে সিরিজও হারিয়েছিল বাংলাদেশ। ২০১৫ সালে ঘরের মাঠে ২-১ ব্যবধানে প্রোটিয়াদের হারিয়ে সিরিজ জিতেছিল মাশরাফি বিন মর্তুজারা।
এআরবি/আইএচএস/পিআর