বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ২০০ মেডিকেল অফিসার নিয়োগের ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে লিখিত পরীক্ষার ফল কেন বাতিল করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে।
আগামী ১৫ দিনের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিসহ পাঁচজন বিবাদীকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ২১ জুলাই পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন আদালত।
এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে সোমবার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার হুমায়ুন কবির পল্লব। অন্যদিকে বিএসএমএমইউয়ের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার তানজীব-উল আলম।
আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে রিটকারী পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার হুমায়ুন কবির পল্লব জানান, হাইকোর্ট স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেয়ায় নিয়োগ-সংক্রান্ত আর কোনো কার্যক্রম পরিচালনা করা যাবে না।
এর আগে গত ২২ মার্চ বিএসএমএমইউতে ২০০ জন চিকিৎসক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষায় মেডিকেল অফিসার পদে ৭৩৯ জন এবং ডেন্টাল সার্জারি পদে ৮১ জনসহ মোট ৮২০ জনকে উত্তীর্ণ হিসেকে ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস, বয়স্কদের উত্তীর্ণ করাসহ বিভিন্ন অভিযোগে শতাধিক পরীক্ষার্থী লিখিত পরীক্ষার ফলাফল বাতিল ও ভিসির পদত্যাগের দাবি জানান।
পরবর্তীতে লিখিত পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ আবদুর রহিম ও জসিম উদ্দিনসহ মোট ৭১ জন গত ১৯ মে হাইকোর্টে পৃথক দুটি রিট করেন। রিটে চিকিৎসক নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফল বাতিল চাওয়া হয়। ওই রিটের শুনানি নিয়ে আদেশ দেন আদালত।
এফএইচ/বিএ/এমএস