আকাশে মেঘের ঘনঘটা। বৃষ্টি নামবে যেকোনো মুহূর্তে। এর মধ্যেই ‘চ্যানেল ২’ রেডিওতে ভারত-নিউজিল্যান্ড বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনাল ম্যাচের ধারাভাষ্য দেয়ার জন্য হাজির হলেন কিংবদন্তি ক্রিকেটার কপিল দেব। তবে মাঠে ঢুকতেই কি স্মৃতির অন্তরালে হারিয়ে গেলেন তিনি? যাওয়ারই তো কথা। কেননা ১৯৮৩ বিশ্বকাপে এই ওল্ড ট্রাফোর্ডেই যে ইংল্যান্ডকে ৬ উইকেটে হারিয়ে টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠেছিল তার ভারত।
যদিও কপিল দেবের মুখে শোনা গেল অন্য কথা। ইতিহাস গড়া ম্যাচ সেই ম্যাচ সম্পর্কে তার নাকি এখন খানিকটাই মনে আছে। ঐতিহাসিক সেই ম্যাচের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বললেন, ‘সে তো অনেক আগের ঘটনা।’ এ ছাড়াও তার ভাষ্যমতে, বদলে গেছে ওল্ড ট্রাফোর্ড। তিনি ও তার দল যেই জাদু দেখিয়েছিলেন সেই জাদুর মাঠটি পাল্টে গেছে অনেকটাই, ‘পিচগুলো আর আগের মতো নেই। বদলে গেছে অনেক। পিচ দিক পরিবর্তন হয়েছে। আমি মোটেও আগের পিচের সঙ্গে এগুলোর মিল খুঁজে পাইনা’- কপিল বলছিলেন টাইমস অব ইন্ডিয়াকে।
এদিকে এই বিশ্বকাপে ভারতের পারফরম্যান্সের কথা উঠতেই খুশির হাসি ফুটে উঠল ভারতকে প্রথম বিশ্বকাপ এনে দেয়া অধিনায়কের ঠোঁটে। সেমিতে ওঠার আগে বিরাট কোহলির দলের অনবদ্য পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট তিনি, ‘আমি ওদের (দলের খেলোয়াড়) নিয়ে গর্ব করি। ক্রিকেটে অনেক পরিবর্তন এসেছে। আর আমরা কিন্তু শেষ কয়েক বছর ধরে ক্রিকেট বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি। ক্রিকেট মাঠে এরকম একটা অ্যাথলেটিক দল আর ভালো ফিল্ডিং সাইড দেখলেই তো মন ভরে যায়।’
তবে কপিল খানিকটা হতাশও। ভারতের আরেক বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির সমালোচনা চলতে থাকায় খানিকটা ক্ষুব্ধ তিনি। কম স্ট্রাইকরেটে (৯৩.৩০) ধোনির ব্যাটিং কাঠগড়ায় তোলাদের উল্টো একহাত নিলেন তিনি, ‘ধোনির সমালোচনা করা একদমই ঠিক হচ্ছে না। সর্বকালের সেরাদের মাঝেমধ্যে এরকম সময়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। তারা তো আর ২০'এ ফিরে যেতে পারবে না।’
ধোনির পাশে দাঁড়ানো কপিল আরও বলেন, ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো, দল ধোনির কাছ তাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী পাচ্ছে। সে হয়তো জনসন্মুখে নিজের লক্ষ্য নিয়ে কোনো কথা বলছে না। সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো, আমরা আমাদের হিরোদের কাছ থেকে একটু বেশিই আশা করি সবসময়। সে দলের জন্য অবিশ্বাস্য কাজ করে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে তার অভিজ্ঞতায় ভরা মাথা তো আছেই।’
এসএস/এমএস