আইন-আদালত

প্রাণসহ ১৪ কোম্পানির দুধ উৎপাদন-বিপণনে আপাতত বাধা নেই

বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন- বিএসটিআই’র লাইসেন্সপ্রাপ্ত ১৪টি পাস্তুরিত দুধ কোম্পানির উৎপাদন, সরবরাহ, সংগ্রহ ও বিপণনে হাইকোর্টের পাঁচ সপ্তাহের নিষেধাজ্ঞার আদেশ স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত। ফলে বাজারে এসব দুধ বিক্রিতে আপাতত কোনো বাধা রইল না।

আরও পড়ুন >> প্রাণ-মিল্ক ভিটাসহ পাস্তুরিত দুধে স্বাস্থ্য ঝুঁকি নেই : বিএআরসি

কোম্পানিগুলোর পক্ষে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে করা আপিল আবেদনের শুনানি নিয়ে বুধবার আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. নূরুজ্জামানের চেম্বার জজ আদালত এ আদেশ দেন। আদালত হাইকোর্টের আদেশ পাঁচ সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেন।

লাইসেন্সপ্রাপ্ত ১৪টি পাস্তুরিত দুধ কোম্পানির পক্ষে চেম্বার আদালতে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

এর আগে ৩০ জুলাই মিল্ক ভিটার পর প্রাণ ডেইরি লিমিটেড ও আকিজ ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের পাস্তুরিত দুধ উৎপাদন এবং বিক্রির নিষেধাজ্ঞাও স্থগিত করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালত।

আরও পড়ুন >> জাতীয় উৎপাদনশীলতা পুরস্কার পেল প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের ৪ প্রতিষ্ঠান

এরও আগে সোমবার (২৯ জুলাই) মিল্ক ভিটার ক্ষেত্রেও হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা চেম্বার আদালতে আট সপ্তাহের জন্য স্থগিত হয়ে যায়।

গত ২৮ জুলাই মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর উপাদান থাকায় বিএসটিআইয়ের লাইসেন্সধারী ১৪টি কোম্পানির পাস্তুরিত দুধ উৎপাদন ও বিপণন পাঁচ সপ্তাহের জন্য বন্ধের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে বাজারে থাকা এসব দুধ কেনা-বেচায় সতর্ক থাকতেও বলেন আদালত। বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দিয়েছিলেন। এরপর কোম্পানির পক্ষে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল আবেদন করা হয়।

আরও পড়ুন >> প্রাণের ত্রাণে প্রাণ ফিরেছে তিস্তা পাড়ে

গত ১৪ জুলাই এক আদেশে বিএসটিআইয়ের লাইসেন্সধারী সব ব্র্যান্ডের পাস্তুরিত দুধে অ্যান্টিবায়োটিক ও ডিটারজেন্টসহ বিভিন্ন ক্ষতিকর উপাদান আছে কি-না, তা এক সপ্তাহের মধ্যে পরীক্ষা করতে চারটি ল্যাবকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

এফএইচ/এমএআর/পিআর