সাহিত্য

রাজন ভট্টাচার্যের দীর্ঘ কবিতা

আলো আসবেই

অন্ধকার কেটে যাবেসরব হবে জনপদকর্মমুখর হবে কারখানাজমে উঠবে পাড়া-মহল্লা থেকে শহরের গলি, রাজপথ।

মাঠেজুড়ে দেখা মিলবে পশুর পালরাখালের বাঁশির মুগ্ধতায় মন ছুটে যাবে... বেলা অবেলা।

মিছিল আর স্লোগানে মুখরিত হবে ক্যাম্পাসপার্টি অফিসজুড়ে বাড়বে কোলাহলটিএসসিতে বসার জায়গা পেতে অপেক্ষা করতে হবে দীর্ঘ সময়।

রবীন্দ্রসরোবর থেকে আসবে নাচের আওয়াজ,শিল্পকলায় জমবে নাটকগানের আসর শেষে বেইলি রোডে হবে চাঁদ দেখার আয়োজনবেঙ্গলের গান উৎসবে আমি ফের হবো রাতজাগা পাখি...

স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য হাততালি দেইপ্রার্থনা করি...তোমার ভালো থেকো মহাকালআশীর্বাদ রইলো মন থেকে।

কোভিড-১৯ থাবায় গোটা বিশ্ব আজ এক অন্ধকার-অমাবশ্যায় ঢাকতে চলেছেঅজানা ভয়-আতঙ্ক আর অবিশ্বাস জেঁকে বসেছে সবখানে...তাতে কি... করারই বা কি আছে...সাহস আছে, আছে মনোবলপ্রতিরোধে; জয় অনিবার্য।

তবুওবিশ্বাস করিজেগে উঠবে মানবতা...

সন্তানকে স্কুল থেকে আনতে তপ্ত রোদে ছুটে যাবেন বাবাহাসপাতালে শয্যাশায়ী মাকে বুকে আগলে রেখেবাঁচানোর নিরন্তর চেষ্টা থাকবে সন্তানের...খবরের খোঁজে মাঠ-ঘাট চষে বেড়াবেন সংবাদকর্মীরা।

ঘর ভরা সোনালি ধানের খুশিতে পান মুখে হাসবেন কৃষকবৈঠা হাতে প্রাণ খুলে নদীতে গান ধরবেন মাঝিখেয়া জাল ভড়ে উঠবে মাছ।

বিশুদ্ধ গন্ধ ছড়াবে প্রকৃতিভ্রমর আর ফুলের খেলায় হাসবে শিশুশ্রমিকের ঘামে ভিজে উঠবে জামা।

প্রিয়তমার জন্য শাড়ি আনতে গঞ্জে ছুটে যাওয়া দেখে হেসে কুটিকুটি হবে নিন্দুকের দল।

হাতে হাত রেখে বন্ধুর কফির গ্লাসে চুমুক পড়বে বারবার।

আবির রঙের টিপ-কাজল-নতুন টাকার নোট-আংটি আর আলতা দেখে খুশিতে রাতভর প্রেম জমে উঠবে সদ্য বিবাহিতা তরুণীর।

আমরা জয় করবো হিংস্র দানবের থাবামুক্ত হব...বিশ্বাস করি আলো আসবেইঘুচে যাবে সব অন্ধকারসময়ের অপেক্ষা মাত্র...

এসইউ/পিআর