মিরপুরের উইকেট বরাবরের মত ফ্ল্যাট কিংবা স্লো নয়। স্পিনারদের স্বর্গরাজ্য বলা হলেও মিরপুরের উইকেট এই এশিয়া কাপে আদতে পেসারদের জন্যই সবচেয়ে বেশি কার্যকরী। কারণ, উইকেটে হালকা ঘাস থাকার কারণে পেসাররা যেমন বাউন্স পাচ্ছেন, তেমনি সুইংও পাচ্ছেন। এই উইকেটে ভারতের বিপক্ষে চার পেসার নিয়েই খেলতে নেমেছিল বাংলাদেশ। মাশরাফিদের দেখেই কি না অনুপ্রাণিত হয়েছে পাকিস্তানও।এবারের এশিয়া কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই তারা মুখোমুখি ভারতের। ক্রিকেটের এল ক্ল্যাসিকো হিসেবেই সবাই চিহ্নিত করছে এই ম্যাচকে। এমন ম্যাচেই কি না ভারতকে কুপোকাত করতে চার পেসার তত্ত্বের দিকেই হেঁটেছে পাকিস্তান। শুধু তাই নয়, চারজনের তিনজনই বাঁ-হাতি পেসার। অপরদিকে ভারতীয় দলে মাত্র দ’জন পেস স্পেশালিস্ট।পাকিস্তান দলে আগে থেকেই আলোচানয় আসছিলো মোহাম্মদ আমির, মোহাম্মদ ইরফান এবং ওয়াহাব রিয়াজের কথা। কিন্তু আজ ভারতের কিপক্ষে তাদের একাদশে দেখা যাচ্ছে যোগ হয়েছেন মোহাম্মদ সামিও। পিএসএলে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দিয়ে দলে জায়গা করে নিয়েছিলেন তিনি।পাকিস্তানের স্পিন আক্রমনে থাকছেন অধিনায়ক আফ্রিদি নিজেই। সঙ্গে স্পিন বোলিং করবেন শোয়েব মালিকও। ভারতীয় দলে পেসার হিসেবে অভিজ্ঞ আশিস নেহরা। সঙ্গে তরুন জসপ্রিত বুমরাহ। অলরাউন্ডার হার্দিক পাণ্ডেও ফাস্ট মিডিয়াম বল করে থাকেন। সে অর্থে তিন পেসার। স্পিন শক্তির মূল জায়গা রবিচন্দ্রন অশ্বিন। সঙ্গে রবিন্দ্র জাদেজা, যুবরাজ সিং এবং সুরেষ রায়নাও রয়েছেন। বাংলাদেশের বিপক্ষে জয়ী দলটিতে কোন পরিবর্তণ আনেনি ভারত।পাকিস্তান পিএসএলের পারফরমার খুররম মনজুর আর শারজিল খানকে নিয়েছে সেরা একাদশে। দলে অভিজ্ঞ শোয়েব মালিক, আফ্রিদি, সরফরাজ আহমেদ, হাফিজ এবং উমর আকমলরাও রয়েছেন। ভারতীয় দল: রোহিত শর্মা, আজিঙ্কা রাহানে, বিরাট কোহলি, সুরেষ রায়না, যুবরাজ সিং, মহেন্দ্র সিং ধোনি (অধিনায়ক), হার্দিক পাণ্ডে, রবিন্দ্র জাদেজা, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, জসপ্রিত বুমরাহ এবং আশিস নেহরা।পাকিস্তান দল: খুররম মনজুর, শারজিল খান, মোহাম্মদ হাফিজ, শোয়েব মালিক, সরফরাজ আহমেদ, উমর আকমল, শহিদ আফ্রিদি, ওয়াহাব রিয়াজ, মোহাম্মদ সামি, মোহাম্মদ আমির, মোহাম্মদ ইরফান। আইএইচএস/আরআইপি