রাজধানীতে ভাড়াটিয়ার তথ্য চাওয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।রোববার বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ এই আদেশ দেন। এ সময় রিটের পক্ষে আদালতে উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার অনিক আর হক ও ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া।রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যার্টনি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।এর আগে গত সোম ও মঙ্গলবার আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া, সঙ্গে ছিলেন সু প্রকাশ দত্ত্ব। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।অপরদিকে, আইনী বিষয়ে শুনানি করেন অনিক আর হক, হাসনাত কাইয়ুম। পরে আদালত আদেশের জন্য আজকের তারিখ নির্ধারণ করেন।আদেশের পরে ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া সাংবাদিকদের বলেন, হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে।এর আগে গত ২ মার্চ দুপুরে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া নিজেই রিটটি দায়ের করেন। এতে আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনারকে বিবাদী করা হয়।গত ২৯ ফেব্রুয়ারি বিট পুলিশিং নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহের জন্য পুলিশ রাজধানীর সব বাসায় ফরম পাঠিয়েছে। ইতোমধ্যে অনেকে ফরম পূরণ করে ফেরত দিয়েছে। বাকী ফরম পূরণ ১৫ মার্চের মধ্যে শেষ হবে। পরে তা ব্যাকআপের কাজ শুরু হবে।এ ঘটনায় গত ৩ মার্চ ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিটটি দায়ের করেন। এর আগে গত ১ মার্চ ভাড়াটিয়াদের তথ্য সংগ্রহের কার্যক্রম থেকে পুলিশকে বিরত থাকার অনুরোধ জানিয়ে লিগ্যাল নোটিশ দেন এই আইনজীবী।বাড়িওয়ালাদের মাধ্যমে ভাড়াটিয়াদের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহের কার্যক্রম ২৪ ঘন্টার মধ্যের বন্ধ করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছিলেন এই আইনজীবী।পরে আইনজীবী জোর্তিময় বড়ুয়া নিজেই সাংবাদিকদের জানান, ১ মার্চ রেজিস্ট্রি ডাক যোগে ২৪ ঘন্টার মধ্যে লিগ্যাল নোটিশের জবাব না দেওয়ায় রিট করা হয়েছে।তিনি বলেন, ভাড়টিয়ার কাছে অসংখ্য তথ্য চাওয়া হয়েছে, যা কোন আদালত বা আইনে নেই। এটা উচিৎ না। তিনি বলেন, সেখানে একজনের ব্যক্তিগত তথ্য চাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তার আত্নীয়-স্বজন ও বাড়ীতে আসা মেহমানেরও তথ্য চাওয়া হয়েছে।একই সঙ্গে ন্যাশনাল আইডির সঙ্গে পাসপোর্ট আইডিরও তথ্য চাওয়া হয়েছে। এ সকল তথ্য নিয়ে পুলিশ কি করবে এবং একজন ব্যক্তির তথ্য সংরক্ষণ করতে পারবেন কিনা তার কোন নিশ্চয়তা নেই।এসব ব্যক্তিগত তথ্যের মাধ্যমে পুলিশ কারো বিরুদ্ধে নিজের দোষ অন্যের উপর চাপিয়ে দিয়ে স্বার্থ হাসিল করতে পারে। যেহেতু তারা একজন ব্যক্তির মর্যাদা ও সম্পদের তথ্য কিভাবে সংরক্ষণ করতে হয় জানে না, তাই আমি ব্যক্তিগতভাবে এ বিষয়ে জনস্বার্থে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছি।ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে ১৫ মার্চের মধ্যে ভাড়াটিয়াদের ব্যক্তিগত তথ্য ফরম পুরণ করে জমা দিতে বলা হয়েছে।এফএইচ/এমএমজেড/এএইচ/এমএস