দেশজুড়ে

এমপির বিরুদ্ধে মামলা করে বিপাকে ফিরোজা

খুলনা-৬ আসনের আওয়ামী দলীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট শেখ নুরুল হকের বিরুদ্ধে মামলা করে বিপাকে পড়েছেন জেলার পাইকগাছা উপজেলার দেবদুয়ার সাহাপাড়া এলাকার বাসিন্দা ফিরোজা বেগম ও তার পরিবার। ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগে দায়ের হওয়া এই মামলা প্রত্যাহার করে নেয়ার জন্য সন্ত্রাসীদের দিয়ে হুমকি দিয়ে চলেছে। শনিবার দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান ফিরোজা বেগম। লিখিত বক্তৃতায় তিনি বলেন, দেবদুয়ার গ্রামে আমার স্বামী মহিউদ্দিন খানের ইটভাটা ও তার ফুফাতো ভাই আমিন খানের ইটভাটা পাশাপাশি। গত ১৬ এপ্রিল খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট শেখ নুরুল হক ও তার ছেলে মনিরুল এরশাদ শিকদারের সহযোগী আযম খান, সালাম, তুহিন, শাহিনসহ প্রায় দুইশ সন্ত্রাসী নিয়ে আমিন খানের ইটভাটায় হামলা চালায়। এ সময় তারা আমাদের বাড়িতে হামলা চালায়। সন্ত্রাসীরা বাড়ির সবকিছুই ভাঙচুর করে। যার ক্ষতির পরিমাণ দুই লাখ টাকা। ভাঙচুর করার পর তারা আমার ঘরের আলমারি ভেঙে নগদ পাঁচ লাখ ৬০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এসব কাজ না করার জন্য এমপি নুরুল হকের পা জড়িয়ে ধরলে তিনি আমাকে লাথি মেরে ফেলে দেন। এই ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের জন্য গেলে থানা মামলা না নেয়ায় গত ২৮ এপ্রিল পাইকগাছা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করি। সেই মামলায় এমপি নুরুল হককে প্রধান আসামি করা হয়। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।লিখিত বক্তৃতায় ফিরোজা বেগম আরও বলেন, শুধু তাই নয়, এমপির সন্ত্রাসীদের লাথিতে আমার দেবর পুত্র সোহাগ খানের স্ত্রী লাভলীর গর্ভের সন্তান (৮ মাস) মারা যায়। এই ঘটনায় এমপির বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হবে।আলমগীর হান্নান/এসএস/এমএস