দেশজুড়ে

ঠাকুরগাঁওয়ে ভোটের মাঠে উড়ছে টাকা

চতুর্থ দফায় ঠাকুরগাঁওয়ে ২০টি ইউনিয়নের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে সদর উপজেলা ১২টি ইউনিয়নে ও বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় ৮টি ইউনিয়নে নির্বাচন হবে।প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে ইউপি নির্বাচনকে ঘিরে উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে চলছে টাকার খেলা। টাকার বিনিময়ে ভোট কিনতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা। শুধু তাই নয়, ভোট কেনা নিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে চলছে নানা বাকবিতণ্ডা। কয়েকটি ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে, নির্বাচনের মাত্র কয়েকদিন বাকি আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা টাকা দিয়ে ভোট কেনা শুরু করেছেন। রায়পুর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী দিনেশ চন্দ্র বর্মন সাংবাদিকদের অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামী লীগ প্রার্থী নুরুল ইসলাম টাকা দিয়ে ভোট কিনছেন।এদিকে, টাকার বিনিময়ে ভোট দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর নুরুল ইসলাম।রুহয়িা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আবু সাইদ বাবু দাবি করেন, তার প্রতিপক্ষ সরকার দলীয় প্রার্থী মনিরুল হক বাবুর নেতাকর্মীদের ভয়-ভীতি প্রদর্শনসহ প্রকাশ্যে টাকা দিয়ে ভোট কিনলেও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।মোহাম্মদপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহাজাহান ই হাবিব সাংবাদিকদের জানান, সরকার দলীয় ক্যাডাররা তাকে বাড়ি থেকে বের হতে দিচ্ছে না। আর সমর্থকদের বাড়িতে গিয়ে হুমকি দেয়া হচ্ছে। ক্ষমতা আর টাকার বিনিময়ে আগেই ভোট শেষ হয়েছে এই ইউনিয়নে। ভোট শুরুর আগেই নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা নিজেদের বিজয়ী দাবি করছেন।তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মো সোহাগ।ভোটের আগে টাকা উড়ার বিষয়ে জেলা নির্বাচন কমিশনার শকুর মিয়া জানান, প্রার্থীদের উৎকণ্ঠা থাকতেই পারে। তবে শান্তিপূর্ণ ভোটের পরিবেশ বিরাজমান রয়েছে।সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান জানান, অধিক ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোর জন্য বিপুল সংখ্যক আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হবে।নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে ও বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। রবিউল এহসান রিপন/এআরএ/এবিএস