নৌযান শ্রমিকদের সর্বনিম্ন মজুরী দশ হাজার টাকা করার ঘোষণার দাবিতে এবং আগামী ১০ মে’র মধ্যে দাবি না মানা হলে ১১ মে থেকে লাগাতার কর্ম বিরতি পালনের ঘোষণা দিয়েছে খুলনা বিভাগীয় অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন মালিক গ্রুপ ও মংলা বন্দর ব্যবহারকারী সমন্বয় কমিটি।রোববার খুলনা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেয়া হয়।সম্মেলনে লিখিত বক্তৃতায় বলা হয়, শ্রমিকদের মজুরী নির্ধারণের বিষয়টি নিরসনের জন্য সর্বশেষ গত ২৬ এপ্রিল নৌ-পরিবহন মন্ত্রীর সভাপতিত্বে মালিক ও শ্রমিকপক্ষের উপস্থিত এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বহু দর-কষাকষির পর উভয়পক্ষের মধ্যে যখন সমঝোতায় পৌঁছাতে ব্যর্থ হয় তখন নৌ পরিবহন মন্ত্রীর একতরফা ভাবে ক শ্রেণির নৌযানের লস্করদের সর্বনিম্ন মজুরী দশ হাজার টাকা, খ শ্রেণির নৌযানের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন মজুরী ৯ হাজার ৫ শত টাকা এবং গ শ্রেণির নৌযানের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন মজুরী ৯ হাজার টাকা ঘোষণা দেন এবং অন্যান্য সকল স্টাফদের বেতন কাঠামো নির্ধারণের জন্য একটি কমিটি গঠন করিয়ে দেন। সর্বনিম্ন মজুরীর ক্ষেত্রে মন্ত্রীর ঘোষণা নৌযান মালিকপক্ষ সন্তুষ্ট হতে না পারায় সিদ্ধান্তহীনভাবে নৌযান মালিকরা বৈঠক ত্যাগ করেন। লস্করের সর্বনিম্ন মজুরী দশ হাজার টাকা হলে উক্ত আনুপাতিকহারে অন্যান্য স্টাফদের মজুরী বৃদ্ধি পেয়ে বেতন কাঠামো নির্ধারিত হলে একটি নৌযানের বেতন ৫০ হাজার টাকা থেকে ৭০ হাজার টাকা বৃদ্ধি পাবে যা নৌযান মালিকদের পক্ষে বহন করা সম্ভব নয়। যা প্রত্যাহার করে নেবার জন্য মন্ত্রীর কাছে আবেদন করা হয়। কিন্তু তা করা হয়নি। ফলে খুলনা নৌ-পরিবহন মালিক গ্রুপের বিশেষ সভায় সিদ্ধান্ত হয় যে, ১০ মে’র মধ্যে মজুরী না কমানো হয়ে ১১ মে থেকে নৌযান মালিকরা লাগাতার কর্মবিরতি পালন করবে।সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, খুলনা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সহ-সভাপতি ও খুলনা বিভাগীয় অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন মালিক গ্রুপ, মংলা ব্যবহারকারী সমন্বয় কমিটির মহাসচিব মো. সাইফুল ইসলাম। আলমগীর হান্নান/এমএএস/এবিএস