নবম শ্রেণি থেকে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ আলাদা করতে চান না অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। তার ভাষ্য, ‘এ রকম বিভাজন আসলে প্রয়োজন নেই, ভালোও না।’
Advertisement
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর ফার্মগেটের ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক (ইউএপি) মিলনায়তনে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে শিক্ষা উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
বাংলার ম্যাথের উদ্যোগে ‘ওয়ার্ল্ড ম্যাথমেটিকস টিম চ্যাম্পিয়নশিপ-২৪’ এ অংশ নেওয়া ২৭ জন শিক্ষার্থীর সাফল্য উদযাপন উপলক্ষে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে দ্য ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড (ইউপিএল) ও ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক।
শিক্ষাক্রম পরিবর্তনের বিষয়ে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, একটি পরিবর্তনশীল জায়গায় আমরা আছি। একদিকে যাচ্ছিলাম, সেদিকে গেলে আর ফেরত আসা যেত না বলেই পেছনের দিকে গেছি। পেছন থেকে আবার সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।
Advertisement
তিনি বলেন, উচ্চতর গণিত কিংবা বিজ্ঞানের উচ্চতর কিছু বিষয় নবম শ্রেণি থেকে শুরু করতেই পেছনের দিকে যেতে হচ্ছে বলে উল্লেখ করে শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, কেউ যদি নবম শ্রেণি থেকেই উচ্চতর গণিত নিতে চায়, সেখান থেকে যদি না নেয়, তাহলে পরে উচ্চমাধ্যমিকে গেলে কঠিন হয়ে যায়।
উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশের শিক্ষাপদ্ধতি অত্যন্ত ক্রটিপূর্ণ। গত ৫০ বছর ধরে এটি মানের দিক থেকে ক্রমান্বয়ে নিচের দিকে নেমেছে। এখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে। এটিকে প্রাথমিক পর্যায়ে কিছুটা ধারণা দিতে হবে। স্কুল-কলেজের শিক্ষাক্রম আরও আধুনিক করতে চেষ্টা করবে সরকার। বিশেষ করে আইটি সেক্টরে। এখানে যেহেতু আমরা পেছনে পড়ে গেছি সেখান থেকে আবার শুরু করতে হচ্ছে। শিক্ষাক্রমকে আধুনিক না করলে অর্থবহ হবে না।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ‘গণিতের সংস্কৃতিকে দেশজুড়ে ছড়িয়ে দিতে হলে...’ শীর্ষক একটি প্যানেল আলোচনা হয়। শিক্ষা গবেষক রাখাল রাহার সঞ্চালনায় এতে অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক হাসিনা খান ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কামরুল হাসান, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মাহবুব মজুমদার, অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান সাইফুর রহমান, ইউএপির ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস বিভাগের অধ্যাপক জি আর আহমেদ জামাল ও বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির একাডেমিক কাউন্সিলর কামরুজ্জামান কামরুল।
এএএইচ/এমআরএম
Advertisement