খেলাধুলা

৪০ খেলোয়াড়ের স্কোয়াড লাগবে, ক্লাবগুলো দেউলিয়া হয়ে যাবে

ফিকশ্চার জটিলতা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন ম্যানচেস্টার সিটির কোচ পেপ গার্দিওলা। তিনি বলেছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে একমাত্র সমাধান হলো ৪০ খেলোয়াড়ের স্কোয়াড গঠন করা, তবে সেটা করতে গেলে ক্লাবগুলো দেউলিয়া হয়ে যাবে।

গার্দিওলা মনে করছেন যে, বর্তমানে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবল এক গুরুতর সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। খেলোয়াড়দের ওপর প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি হচ্ছে, কারণ ম্যাচের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। কিন্তু এই সমস্যা সমাধানের কোনো উপায়ও দেখা যাচ্ছে না, কারণ ফুটবলের ক্যালেন্ডারে কোনো কাটছাঁট করার সম্ভাবনা নেই।

গত মৌসুমে ম্যানচেস্টার সিটি ৫৯টি ম্যাচ খেলেছে, কারণ তারা সাতটি ভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে। চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত ৩৮টি ম্যাচ খেলা হয়ে গেছে এবং আরও ১৯টি ম্যাচ নিশ্চিত রয়েছে। যদি তারা এফএ কাপ, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ এবং ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ-এর ফাইনালে পৌঁছায়, তাহলে মোট ম্যাচ সংখ্যা ৭১-এ পৌঁছাতে পারে।

এর মধ্যে আন্তর্জাতিক ফুটবল যোগ করলে চাপ আরও বেড়ে যায়। খেলোয়াড়রা ক্লাব ফুটবলের পাশাপাশি ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ, কোপা আমেরিকা ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে থাকেন, যা তাদের শারীরিকভাবে ক্লান্ত করে ফেলে।

ম্যানসিটির ব্যালন ডি'অরজয়ী মিডফিল্ডার রদ্রি কিছুদিন আগে খেলোয়াড়দের ওপর চরম শারীরিক চাপে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। তার মন্তব্যের কিছুদিন পরই তিনিও ইনজুরির কারণে কয়েক মাসের জন্য মাঠের বাইরে চলে যান, যা দলকে আরও বিপাকে ফেলে।

সবমিলিয়ে ভীষণ হতাশ গার্দিওলা। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমি প্রতি মৌসুমে ইনজুরির কথা চিন্তা করি, তবে এবার পরিস্থিতি আরও খারাপ। শুধু ম্যানসিটি নয়; আপনি টটেনহ্যাম, আর্সেনালের দিকেও তাকান। লিভারপুল ছাড়া প্রায় সব বড় দল ইনজুরিতে ভুগছে। রিয়াল মাদ্রিদের অবস্থাও একই।’

ম্যানসিটি কোচ যোগ করেন, ‘ফিকশ্চার কমার সম্ভাবনা নেই। প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচগুলো একই থাকবে, কারাবাও কাপ চালু থাকবে। সমাধান একটাই-৪০ জনের স্কোয়াড। কিন্তু এটি অসম্ভব। এত খেলোয়াড়ের বেতন, ট্রান্সফার খরচ-ক্লাবগুলো দেউলিয়া হয়ে যাবে।’

এমএমআর/এএসএম