ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় পর্যায় নিয়ে ‘পরোক্ষ’ আলোচনা শুরু করতে যাচ্ছে ইসরায়েল ও হামাস। মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) উভয় পক্ষের কর্মকর্তারা এই জানিয়েছেন।
Advertisement
এদিকে, হামাস জানিয়েছে, তারা এই সপ্তাহে আরও কয়েকজন বন্দি মুক্তি দেবে ও দুটি শিশুর মরদেহসহ চারজনের দেহাবশেষ ফেরত দেবে।
হামাসের গাজা শাখার নেতা খালিল আল-হাইয়া বলেছেন, বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ইসরায়েলের বিবাস পরিবারের সদস্যসহ চারজন মৃত বন্দির মরদেহ ফেরত দেওয়া হবে। এরপর শনিবার মুক্তি দেওয়া হবে ছয় জীবিত বন্দিকে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় কায়রোতে আলোচনার মাধ্যমে চুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তবে বন্দিদের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। এক ইসরায়েলি কর্মকর্তা বলেছেন, মৃত বন্দিদের মরদেহ ইসরায়েলে শনাক্ত করার পর তাদের নাম প্রকাশ করা হবে।
Advertisement
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসকতৃক অপহৃতদের মধ্যে বিবাস পরিবারের সদস্যরা অন্যতম। অপহরণের সময় কফির বিবাসের বয়স ছিল এক বছরেরও কম, আর তার ভাই আরিয়েলের বয়স ছিল চার বছর। তাদের বাবা ইয়ারডেন বিবাস সম্প্রতি মুক্তি পেলেও তাদের মা শিরি বিবাস মুক্ত হননি।
হামাস দাবি করেছে, ইসরায়েলি বোমাবর্ষণে শিরি ও তার সন্তানরা নিহত হয়েছেন। তবে ইসরায়েল এখনো এ বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানায়নি। তবে দখলদার দেশটি জানিয়েছিল, এই পরিবারের জীবন নিয়ে গুরুতর উদ্বেগ রয়েছে।
দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা
যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে ৪২ দিনের জন্য সংঘর্ষ বন্ধ রাখা ও ৩৩ ইসরায়েলি বন্দির মুক্তির বিনিময়ে শত শত ফিলিস্তিনি বন্দি মুক্তি দেওয়া হয়। কিন্তু দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা কঠিন হতে পারে, কারণ এতে যুদ্ধ-পরবর্তী গাজার প্রশাসনসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
Advertisement
ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডিওন সার বলেন, আমরা গাজায় হামাস বা অন্য কোনো সন্ত্রাসী সংগঠনের উপস্থিতি মেনে নেব না। তবে আলোচনা ইতিবাচক হলে আমরা যুদ্ধবিরতির সময়সীমা দীর্ঘায়িত করতে পারি।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর প্রতিশোধমূলক হামলায় ৪৮ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন ও গাজার বিশাল অংশ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
সূত্র: রয়টার্স
এসএএইচ