অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের সভাপতি বিডিআরের সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) আ ল ম ফজলুর রহমান বলেছেন, পিলখানায় বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তদন্ত কমিশন গঠনের পর এরই মধ্যে প্রায় ৪০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। আমরা প্রায় অর্ধেক কাজ সম্পন্ন করেছি।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় শহীদ সেনা দিবস উপলক্ষে ‘পিলখানায় সংঘটিত নির্মম হত্যাকাণ্ডে শাহাদতবরণকারী শহীদ অফিসারদের স্মরণে’ এক বিশেষ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
আ ল ম ফজলুর রহমান বলেন, প্রায় ৪০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছি। আরও বিভিন্ন পদবির সেনা ও সিভিলিয়ানদের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হবে। আমরা প্রায় অর্ধেক কাজ সম্পন্ন করেছি।
আরও পড়ুন ৩৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ, সেনা আইন ভঙ্গের বিষয়ে পর্যালোচনা করছে কমিশন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পিলখানায় হত্যাযজ্ঞ: ফখরুলতদন্তের দুটি অংশ রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, অভ্যন্তরীণ, যা আমরা প্রথমেই শুরু করেছি। এরপর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে লিখেছি, এমন অনেকেই বিদেশে অবস্থান করছেন তাদের দেশে ফিরিয়ে অথবা আমাদের টিম সেখানে গিয়ে কিংবা জুমের মাধ্যমে (অনলাইনে) তাদের বক্তব্য নিতে নেওয়া যেতে পারে।
তদন্ত কমিশনের সভাপতি বলেন, বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের প্রধান হওয়ার পর একটি বিষয় উপলব্ধি করেছি, ৫৭ জন অফিসারকে হত্যার ষড়যন্ত্র যারা করেছে এটা পিলখানায় হয়েছে। আমরা নিশ্চিত করবো এই পিলখানা যেন বাংলাদেশ না হয়। আমাদের সেনাবাহিনী দাঁড়িয়ে আছে এবং শত্রু দেশের সেনাবাহিনী এসে আমাদের স্বাধীনতা হরণ করে নিয়ে গেলো। এটা আমরা হতে দেবো না।
তিনি বলেন, এই স্বাধীন তদন্ত কমিশন যদি ফেল করে, তাহলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার ব্যাপারে সন্দিহান হতেই হবে। এটা কোনোদিনও হতে দেওয়া যাবে না। আমার টিমে যে সাতজন সদস্য রয়েছেন তারা একই হার্ট হিসেবে, একই বডি, একই মাইন্ড হিসেবে কাজ করছি। আমরা অতিসত্বর কাজ সম্পন্ন করতে পারবো।
আ ল ম ফজলুর রহমান আরও বলেন, যাদের কাছে যে ডকুমেন্টস আছে সেটা তার কাছে যত গুরুত্বহীন মনে হোক; আমাদের কাছে সেটা মহামূল্যবান ডকুমেন্টস হতে পারে। যাদের কাছে যে ডকুমেন্টস আছে অনুরোধ করবো আমাদের দেন, তথ্য প্রদানে ওয়েবসাইট খোলা হয়েছে www.bdr-commission.org।
আরও পড়ুন বিনা দোষে আমাদের জীবন থেকে ১৬টি বছর চলে গেছেতিনি বলেন, যারা কাপুরুষ তারা পেছন দিক থেকে হত্যা করে। কিন্তু আমরা তাদের গালের চপেটাঘাত করেছি ‘শহীদ সেনা দিবস’ হিসেবে জাতির কাছে প্রতিষ্ঠিত করে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান, বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন বীর বিক্রম, জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, পিলখানা হত্যাকাণ্ডে শাহাদতবরণকারী শহীদ অফিসারদের পরিবারবর্গ ও অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তারা।
টিটি/এমকেআর/এএসএম